ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা টুর্নামেন্ট ধরা হয় ইউরোপা লিগকে। আর এই আসরের রাজা বলা হয়ে থাকে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়াকে। কেননা ছয়বার ফাইনাল খেলে ইউরোপা লিগে ছয়বারই শিরোপা জিতেছে দলটি। হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় বুধবার রাতে সপ্তমবার সেই চিরচেনা ট্রফি উঁচিয়ে ধরার লক্ষ্যে রোমার বিপক্ষে মাঠে নামে স্প্যানিশ জায়ান্টরা। নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে খেলা গড়ায় ট্রাইবেকারে। পেনাল্টি শুটআউটে চরম নাটকীয়তা ও রোমাঞ্চ ছড়িয়ে ৪-১ গোলে জয় পেয়ে সপ্তমবারের মতো ইউরোপা লিগের শিরোপা নিজেদের করে নেয় সেভিয়া।
পুসকাস অ্যারেনায় ম্যাচের শুরুতে ছিল তুমুল লড়াই। পাওলো দিবালার দারুণ গোলে প্রথমার্ধের ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় ইতালিয়ান ক্লাব রোমা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় হোসে মরিনহোর দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই নিজেদের চিরচেনা রূপে ফিরে আসে সেভিয়া। আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে গোলের দেখাও পেয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। তবে সেই গোলটি আসে রোমার গিয়ানলুকা মানচিনির অবদানে। তার করা আত্মঘাতী গোলে ১-১ সমতা ফিরে ম্যাচে।
আরও পড়ুন>>‘উন্নয়নের দেড় দশক : স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’
শেষ পর্যন্ত দুই দলের আক্রমণে আরো গতি বাড়লেও নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র হলে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও ম্যাচের নিষ্পত্তি না হলে ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় ট্রাইবেকারে।
আর সেই পেনাল্টি শুটআউটেই যেন নাটকীয়তা। আর্জেন্টাইন বিশ্বকাপজয়ী তারকা গনসালো মনতিয়েল লুসাইলের ফাইনালের মতো শিরোপাজয়ী শট নেওয়ার দ্বারপ্রান্তে ঠিক তখনই শুরু হয় আরেক দৃশ্যপট।
ট্রাইবেকারের শুরুতে গিয়ানলুকা মানচিনির করা প্রথম পেনাল্টি ঠেকান কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর সেমিফাইনাল খেলার অন্যতম নায়ক গোলরক্ষক ইয়াসিন বুনু। এরপর ইতালিয়ান ক্লাবটিকে আরও পিছিয়ে দেন রজার আইবানেজ। তার নেওয়া শটটি পোস্ট লেগে প্রতিহত হয়। পরে সেভিয়াকে শিরোপা জেতানোর সুযোগ আসে আর্জেন্টাইন তারকা গনসালো মনতিয়েলের। বিশ্বকাপে তাঁর পেনাল্টিই আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছিল।
কিন্তু পুসকাস অ্যারেনায় অন্যরকম নাটক মঞ্চায়িত হলো। পেনাল্টি শটটি পোস্টে মারেন মনতিয়েল। ফলে ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায় মরিনহোর দল। কিন্তু রোমা গোলরক্ষক আগে থেকে সরে যাওয়ায় আবারও পেনাল্টির সুযোগ পান মনতিয়েল। এবার আর ভুল হয়নি। দারুণভাবে বল জালে জড়িয়ে ৪-১ গোলে সেভিয়ার শিরোপা নিশ্চিত করেন এই ডিফেন্ডার। সেই সঙ্গে রেকর্ড সপ্তম শিরোপা উঠে সেভিয়ার ঘরে।
ইবাংলা/এসআরএস