আগামী দুইদিনের মধ্যে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। ১০-১৫ দিন পর দেশে আর বিদ্যুতের কষ্ট থাকবে না বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ জুন) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছিলেন। তিনি জানতেন ধাপে ধাপে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে এ ৬ দফাই এক দফা দাবিতে পরিণত হয়, যেটা ছিল স্বাধীনতা। এ দেশের জনগণের জন্য আন্দোলন-সংগ্রাম আওয়ামী লীগই করেছে। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। ইদানিং বিএনপি গণতন্ত্রের কথা বলে। কিন্তু কোন গণতান্ত্রিক ধারায় জন্ম হয়েছিল বিএনপির? অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে উর্দি খুলে রাজনীতির খায়েশ জাগে তাদের। তখন হ্যাঁ-না ভোটের প্রচলন করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করেছিল। ভোট চুরি করা ছাড়া তখন ক্ষমতার সুযোগ ছিল না জিয়াউর রহমানের। দেশে হত্যার রাজনীতি, ভোট কারচুপি, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলা- এসব শুরু করেন জিয়াউর রহমান। উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন, সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল অবৈধ। যেটা করেছেন জিয়াউর রহমান।
আরও পড়ুন: ‘দেশে গ্যাসের মজুদ ২৮.৭৬ ট্রিলিয়ন’
শেখ হাসিনা বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগ। দেশের মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে যা করার তা আওয়ামী লীগই করেছে। দেশের জনগণ তাদের ভোটের অধিকার নিয়ে এখন সচেতন। কেউ ভোটের অধিকার কেড়ে নিলে মানুষ তাদের ছেড়ে দেয় না। খালেদা জিয়া তার প্রমাণ। ১৯৯৬ সালে ভোট চুরি করে জোর করে ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিল বিএনপি। তাদের মুখে এখন গণতন্ত্র আর ভোটের কথা মানায় না। বিএনপি আজ ভোটের কথা বলে, ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে কত ভোট পেয়েছিল? আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। মানুষ ভোট দিতে পারলে আওয়ামী লীগ কখনো পরাজিত হয়নি।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ বছর আগের মামলায় ২ জনের সাজা
তিনি আরও বলেন, দুইবার ভোট চুরির অপরাধে খালেদা জিয়াকে বিদায় নিতে হয়েছে। শুনলে আমাদের হাসি পায়, ওরা যখন গণতন্ত্রের কথা বলে। গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটের অধিকার সুরক্ষিত করেছে আওয়ামী লীগ। আর খালেদা-তারেক জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের শিকার দেশের মানুষ। বিএনপির দুঃশাসন-দুর্নীতির কথা তারা ভুলে যায়নি। একদিকে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন, অন্যদিকে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা- এটাই ছিল তাদের কাজ। এখন যদি তারা জ্বালাও-পোড়াও করে, অগ্নিসন্ত্রাস করে, তাহলে মার্কিন ভিসা পাবে না। যাদের কথায় তারা নাচে, তারাই বিএনপিকে ভিসা দেবে না।