কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ শনিবার টাইটান সাবমার্সিবলের বিস্ফোরণের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। টাইটানিকের ধ্বংসস্তুপের কাছে পাঁচজন লোক নিয়ে সাবমার্সিবলটি নিখোঁজ হওয়ার পর বহুজাতিক অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানো হয়েছিল।
ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ডের (টিএসবি) সভাপতি ক্যাথি ফক্স বলেছেন, ‘আমাদের দায়িত্ব হল কী ঘটেছে এবং কেন ঘটেছে এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার সম্ভাবনা বা ঝুঁকি কমাতে কী পরিবর্তন করতে হবে তা খুঁজে বের করা।’
তিনি নিউফাউন্ডল্যান্ডের সেন্ট জনস-এ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা জানি সবাই উত্তর চায়, বিশেষ করে পরিবার এবং জনসাধারণ।’
সম্পূর্ণ তদন্তে ১৮ মাস থেকে দুই বছর সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন>> হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু আজ
টিএসবি তদন্তকারীরা শনিবার কানাডিয়ান-পতাকাযুক্ত পোলার প্রাইস কার্গো জাহাজে উঠেছেন, যেটি উত্তর আটলান্টিকের দুর্ভাগ্যজনক টাইটান সাবমার্সিবলটি তার লঞ্চ পয়েন্টে নিয়ে আসার জন্য সেন্ট জন’স থেকে গত সপ্তাহান্তে যাত্রা করেছিল।
পরিবহন নিরাপত্তার উন্নতির লক্ষ্যে এই নিরাপত্তা বোর্ড নিয়মিতভাবে বিমান, রেল, সামুদ্রিক এবং পাইপলাইন দুর্ঘটনার তদন্ত করে আসছে। এটি দুর্ঘটনার ফৌজদারি দায় নির্ধারণ করে না।
ইউএস কোস্ট গার্ড বৃহস্পতিবার বলেছে, সাবমার্সিবলটির ‘বিপর্যয়কর বিস্ফোরণের’ পরে এতে থাকা পাঁচজনের সবাই মারা গেছে।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে ১,৬০০ ফুট (৫০০ মিটার) দূরে সমুদ্রতলে সাবমার্সিবলটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।
ইতিমধ্যে, রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ (আরসিএমপি) টাইটানের দুঃসাহসিক যাত্রীদের মৃত্যুর ঘটনায় কোন ফৌজদারি আইন ভঙ্গ হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছিল।
নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাব্রাডরের সুপারিনটেনডেন্ট কেন্ট ওসমন্ড বলেন, তদন্তকারীদের কাজ হল ‘আরসিএমপি দ্বারা সম্পূর্ণ তদন্তের প্রয়োজন আছে কি না’ তা নির্ধারণ করা। ‘এই ধরনের তদন্ত কেবল তখনই এগিয়ে যাবে যখন আমাদের পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণে এমন ইঙ্গিত দেয় যে, ফৌজদারি ফেডারেল বা প্রাদেশিক আইন সম্ভবত ভঙ্গ করা হয়েছে।
ইবাংলা/এসআরএস