৫ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন নাদিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট
  • মুসলিমদের জন্য পবিত্র কোরআন মুখস্থ করা অনেক বড় পূণ্যের কাজ। সাধারণত শৈশবেই মুসলিম শিশুরা কোরআন হেফজ সমাপ্ত করে থাকে। তবে স্মৃতিশক্তির তারতম্যের কারণে এতে কম-বেশি সময় লাগে।

মাত্র পাঁচ মাসে একজন স্কুল শিক্ষার্থীর কোরআন হিফজের ঘটনা বিরল কৃতিত্ব। এটা অনেকের হৃদয়ে নাড়া দেবে। ফলে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের কোরআন হিফজ করতে উৎসাহ বোধ করবে।

নাদিয়া সুলতানা আজিজা বাঁশখালীর বাহারছড়া ইউনিয়নের পূর্ব ইলশা গ্রামের মাওলানা নুরুন্নবী আজিজীর মেয়ে।

  • ১ নভেম্বর বাঁশখালী দারুল কারিম মহিলা মাদরাসার মহিলা হেফজখানা থেকে ওই ছাত্রী পবিত্র কোরআন হেফজ করেছে বলে নিশ্চিত করেন মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সাংবাদিক মাওলানা শফকত চাটগামী।

গণমাধ্যমকে তিনি জানান, করোনা ভাইরাসজনিত কারণে গত বছর অক্টোবরে মাদরাসার নাজেরা বিভাগে ভর্তি হয় নাদিয়া। পরে চলতি বছরের ৩০ মে থেকে সে পবিত্র কোরআন হেফজ শুরু করে মাত্র ৫ মাসের মধ্যে ১ নভেম্বর (সোমবার) পবিত্র কোরআনের ৩০ পারা মুখস্থকরণ শেষ করেছে। নাদিয়া অত্যন্ত মেধাবী ও নম্রভদ্র বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বাঁশখালী জলদী দারুল কারীম মাদরাসার মহিলা হেফজখানায় বর্তমানে ৩ জন হাফেজা-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে বর্তমানে ৬৫ জন ছাত্রী অধ্যয়নরত আছেন। তাছাড়া দারুল কারীমের মূল ছাত্র শাখায় হাফেজ সাহেবের সংখ্যা ৫ জন। ১১ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার তত্ত্বাবধানে এখানে ২ শতাধিক ছাত্রছাত্রী অধ্যয়নরত।

ইবাংলা/এইচ/০৪ নভেম্বর, ২০২১

Comments (0)
Add Comment