সম্প্রতি ইউক্রেনে শুরু হওয়া রুশ আগ্রাসনের ৫০০ দিন পূরণ হয়েছে শুক্রবার (৭ জুলাই)। ইতিমধ্যে ৫০০ শিশুসহ ৯ হাজারের এরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
রাশিয়া চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আক্রমণ করে। এখন পর্যন্ত এই যুদ্ধে নিহতের সংখ্যা ৯৫০০ এরও বেশি। ইউক্রেনে জাতিসংঘের মানবাধিকার মনিটরিং মিশন (এইচেএমএমইউ) শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের ভয়াবহতার নিন্দা জানিয়েছে এবং সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ৯৫০০ এরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন>> ব্রাজিলে আবাসিক ভবন ধসে নিহত ৮
তবে ধারনা করা হচ্ছে, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হওয়া মৃত্যুর সংখ্যার চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। ৫০০তম দিন উপলক্ষে এইচআরএমএমইউ-এর ডেপুটি হেড নোয়েল ক্যালহাউন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ আমরা ইউক্রেনের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর ভয়ঙ্কর ভাবে চালিয়ে যাওয়া নির্যাতনের আরেকটি ভয়ঙ্কর মাইলফলক চিহ্নিত করলাম’
ইউক্রেনে জাতিসংঘের মনিটরিং মিশন আরও জানিয়েছে, ইউক্রেন রাশিয়ার পূর্ব আট বছরের শত্রুতার তুলনায় গত ৫০০ দিনে তিনগুণ বেশি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। রুশ সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ক্রিমিয়া এবং অন্যান্য অঞ্চল দখল করে নেয়। এছাড়া রাশিয়া ইউক্রেনে নিয়মিত নির্বিচারে বিমান হামলা ও আর্টিলারি এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে। যা বিশেষ করে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ছিল খুবই মারাত্মক।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ সালের তুলনায় এই বছর ইউক্রেনে হতাহতের সংখ্যা গড়ে কম। জানা গেছে, এই সংখ্যাটি মে এবং জুন মাসে আবার বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৭ জুন ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ক্রামতোরস্কে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চার শিশুসহ ১৩ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
এছাড়া জাতিসংঘ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর লভিভ থেকে অনেক দূরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১০জন নিহত এবং আরো ৩৭ জন আহত হয়েছিল। আক্রমণ শুরুর পর থেকে বেসামরিক জনগনের ওপর এটিই সবচেয়ে বড় হামলা বলে অভিহিত করেছেন ওই অঞ্চলের মেয়র। ওই আক্রমণে একটি ঐতিহাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
ইবাংলা/এসআরএস