প্রথম ম্যাচে বৃষ্টি আইনে আফগানিস্তানের কাছে ১৭ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ দল। তবুও তিন ম্যাচের সিরিজে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক লিটন দাস। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেও আফগানদের কাছে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই রীতিমত ধরাশায়ী হয়েছে টাইগাররা। আর তাতে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারল স্বাগতিকরা।
শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ৩৩১ রান করে সফরকারীরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানেই থামে টাইগাররা। এতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৪২ রানে বিশাল ব্যবধানে জয় পায় আফগান আটলানরা।
আরও পড়ুন>> ৩৩১ রানে থামলো আফগানিস্তান
আফগানদের দেওয়া লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এদিন স্বাগতিকদের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাইম। দীর্ঘদিন পর দলে ফিরে খানিকটা রয়েসয়ে খেলেন নাইম। তবে আফগানদের ওপর চড়াও হতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন টাইগার দলপতি।
ম্যাচের পঞ্চম ওভারে ফজল হক ফারুকীর বলে পুল করতে গিয়ে শর্ট মিডউইকেটে নবীর তালুবন্দী হন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে তিন বাউন্ডারিতে ১৩ রান করেন তিনি। এরপর ক্রিজে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই মুজিবের ঘূর্ণিতে অফ স্ট্যাম্প হারান তিনি। এতে পরপর দুই ম্যাচে ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন এ ব্যাটার। এর পরপরই ফজল হকের বলে বোল্ড আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান মোহাম্মদ নাইম (৯)।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রীতিমতো চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। এ সময় দলের হাল ধরতে বাইশ গজে আসেন সাকিব আল হাসান। তারপর হৃদয়কে নিয়ে জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন তিনি। ফলে এ জুটির ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। কিন্তু উইকেটে থিতু হয়েও ব্যক্তিগত ইনিংস লম্বা করতে পারেননি হৃদয়।
রশিদের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৬ রান করেন হৃদয়। তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরই সাজঘরে ফেরেন সাকিবও। আফগানদের সিনিয়র ক্যাম্পেইনার নবীর বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন তিনি। এতে ৩ বাউন্ডারিতে ২৫ রানে থামেন এ বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
এরপর উইকেটে আসেন আফিফ হোসেন। কিন্তু ম্যানেজমেন্টের প্রত্যাশা পূরণে আবারো ব্যর্থ হন তিনি। রশিদের বলে ফ্লিক করতে শর্ট স্লিপে নবীকে ক্যাচ দেন তিনি। এতে শূ্ন্য রানেই ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দেন এ বাঁহাতি ব্যাটার।
আফগান বোলাদের চাপ সামলে ৮৭ রানের জুটি গড়েন মুশফিক-মিরাজ। তবে আফগান শিবিরে ভয় ধরানো এই জুটি ভাঙেন মুজিব। ম্যাচের ৩৭তম ওভারে ওয়াইড লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা হাকাতে গিয়ে ব্যর্থ হন মিরাজ। ফুল লেংথের বলটি ঠিকঠাক টাইমিং না হওয়ায় বলটি রহমত শাহর হাতে গিয়ে পড়ে। এতে ২৫ রানে থামতে হয় মিরাজকে।
এরপর হাসান মাহমুদের বিদায়ে ক্রিজে আসেন মুস্তাফিজুর রহমান। তাকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে দলীয় ইনিংস এগিয়ে নিচ্ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ফিফটির ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তিনি। ম্যাচের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করে ৬৯ রানে আউট হন তিনি। সাজঘরে ফেরার আগে ছয়টি বাউন্ডারি হাকান তিনি। মুশির বিদায়ে ১৮৯ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
এদিন আফগানিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট শিকার করেন মুজিব-উর-রহমান ও ফজল হক ফারুকী।
ইবাংলা/এসআরএস