সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের এক দফা দাবি আদায়ে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপিসহ ৩৬টি রাজনৈতিক দল এই যৌথ কর্মসূচি ভিন্ন ভিন্নভাবে পালন করবে।
বুধবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
কর্মসূচি
আগামী ১৮ জুলাই, ঢাকা মহানগরীসহ সারা দেশে মহানগরী ও জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা। ঢাকা মহানগরীতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা গাবতলী থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত। ১৯ জুলাই ঢাকা মহানগরীতে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা উত্তরার আব্দুল্লাহপুর থেকে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা।
আরও পড়ুন>> বাংলাদেশকে জঙ্গিরাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য বিএনপির সৃষ্টি: নানক
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা অনেক কথা বলেছি। এখন আর কথা বলার সময় নাই। যারা আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে তাদের সরিয়ে দেয়ার সময় হয়েছে। আমরা অবশ্যই নির্বাচন চাই। তবে এই সরকারের অধীনে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের এ কর্মসূচি হচ্ছে প্রাথমিক কর্মসূচি। এরপরও যদি আঙ্গুলে ঘি না ওঠে, তাহলে কী করে ঘি ওঠাতে হয় তা এদেশের মানুষ জানে। আজ শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ এখানে সমবেত হয়েছে। আগামীতে আপনাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী কর্মসূচি দিয়ে এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।
তিনি বলেন, সুনামি এলে দেয়াল দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না, ঝড় এলে বাঁশ দিয়ে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না। অনেক বাধা দিয়েও আজকের সমাবেশ বানচাল করতে পারেনি। এই সরকার বাংলাদেশবিরোধী সরকার, এই সরকার গণতন্ত্রবিরোধী সরকার, এই সরকার বাংলাদেশের জনগণবিরোধী সরকার।
স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, আজকের পর থেকে কীভাবে জনগণ আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করবে, তা রাজপথে প্রমাণিত হবে। আজকের পর থেকে আওয়ামী লীগকে রাজপথে মোকাবিলা করা হবে। মামলা-হামলা দিয়ে আর জনগণকে আটকানো যাবে না। পুলিশ প্রশাসন এই ধরনের কাজ যদি অব্যাহতভাবে করতে থাকে, জনগণ তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবে।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আর বেশি দিন মিথ্যার ওপরে রাজত্ব করতে পারবেন না। সব বাধা উপেক্ষা করে আজকের কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে। আজকের সমাবেশ থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যুদ্ধ শুরু হবে। এখন থেকে একটি আঘাত এলে দুটি আঘাত করব। গণতন্ত্র উদ্ধারের যুদ্ধে যেটি করা হবে সেটি আইন, সেটি সংবিধান।
খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ভোট চুরির যত ধরনের কৌশল করুক না কেন তা প্রতিহত করা হবে। প্রতিহত করে জনগণের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় এ সমাবেশ হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, বেগম সেলিমা রহমান প্রমুখ।
ইবাংলা/এসআরএস