সরিষাবাড়ীতে কর্মসৃজন প্রকল্পের রাস্তা সংস্কারের অর্থ লোপাটের অভিযোগ

(জামালপুর) প্রতিনিধি

সরিষাবাড়ী রাস্তায় কাজ হলে কি ভাঙ্গা থাকে। আমাদের চলাচল, মালামাল নেওয়া সমস্যা হইছে। গাড়ী চলেনা। স্থল গ্রামের এই রাস্তায় কোন কাজ হয়নি অভিযোগ করেছেন স্থল গ্রামের গৃহবধু জবেদা বেগম।জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে ২০২২-২৩ইং অর্থ বছরে অতিদরিদ্রদের।

জন্য কর্ম সৃজন প্রকল্পের রাস্তা সংস্কারের অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ৪নং আওনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পাঁচতারা জেটি ঘাট হয়ে স্থল গ্রামের প্রধান সড়ক পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ থাকার পরও সংস্কারের উদ্দ্যেগ নেই।

আরও পড়ুন…গাছ উপড়ে নোয়াখালীর সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ

উপজেলার দৌলতপুর, স্থল, কুলপাল, গোয়াল পাড়া, কাওয়ামারা, বাটিকামারী, গোয়াল বাথান, তরুনি আটা, চানপুর, রামপুরসহ ১২টি গ্রামের অর্ধলক্ষ মানুষ এই রাস্তায় চলাচল করে থাকে।

সঠিক ভাবে রাস্তা সংস্কারের কাজ না করায় বৃষ্টিতে রাস্তা ধ্বসে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। এলাকার মতি মিয়া জানান, কয়েকটা মহিলা রাস্তার সাইট মাইট বাইন্ধা থুইয়া গেছে।

রাস্তার মাটি কই থিকা কাটবো। তবে দুই গাড়ি মাটি দিয়া রাস্তা সমান করছে বলে তিনি জানান। স্থল গ্রামের জুলহাস উদ্দিন জানান, রাস্তায় দুই দিন মাটি ছিটাইয়া বাইরাইয়া দিছে।

আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে আরও ১৪ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৭৫১

৭নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বাররে বাদ দিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বারনিরে দিয়া কাম করায়।আমাদের ওয়ার্ডে ম্যাম্বররে দিয়া কাম করায়না বলে তিনি অভিযোগ করেন। স্থানীয় অটোভ্যান চালক দুলাল মিয়া জানান, ৩০জন করে শ্রমিক ২দিন কাজ করছে।

তারা মাটি ছড়িয়ে দিয়ে চাহিদা অনুযায়ী কাজ করে নাই। আমাদের ২০০ গাড়ী নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারিনা। অপর অটোভ্যান চালক ছাইফুল ইসলাম বলেন, আমাদের এই ওয়ার্ডের ম্যাম্বাররে বাদ দিয়া বাটিকামারীর ম্যাম্বররে দিয়া রাস্তার পোজ দিয়া থুইয়া গেছে।

স্থল মধ্যপাড়া গ্রামের আঃ জলিল মিয়া ৮নং ওয়ার্ডের নাপিতের বাড়ি হতে নিপেন ডাক্তারের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের বিষয়ে বলেন, ৮জন লেবারকে ১দিন কাজ করতে দেখেছি।

আরও পড়ুন…আদিবাসী স্বীকৃতির অন্তরালে দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

ম্যাম্বার এসে রাস্তার নিচু জায়গা পূরণ করেছে বলে তিনি জানান। ৯নং ওয়ার্ডের কুমারপাড়া প্রধান সড়ক থেকে পশ্চিমে যমুনা ওয়াবদা বাধ সড়ক সংস্কারের বিষয়ে গ্রামের বৃদ্ধ শাজাহান মিয়া বলেন, এইদিকে কাজ হয় নাই। ঐ দিকে কাজ হইছে। ৫/৭ দিন কাজ করছে।

যেখানে যেখানে দুপা (নীচু) সে খানে মাটি ফালাইছে। তবে তার বাড়ির সামনের রাস্তার ভাঙ্গন সংস্কারের কাজ করা হয়নি বলে তিনি জানান। ১০/১৫ গ্রামের মানুষ চলাচল করে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, এমন কাউকে পাইলামনা যে আমাদের রাস্তার কাজ কইরা দিবে। কুমারপাড়ার মুগরব আলী বলেন, আমাদের রাস্তা না থাকায় খুব সমস্যা।

পাশের বাশের সাকো দিয়ে চলাচল করতে হতো। সে টা ভেঙ্গে যাওয়ায় ৪/৫ গ্রামের মানুষকে অন্যের জায়গা দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। স্থল দক্ষিণ পাড়া গ্রামের রাশেদুল ইসলাম বলেন।

আরও পড়ুন…নোয়াখালীতে রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

১০/১২ জন লেবার ২/৩ দিন কাজ করেছে। গত ২০ জুলাই সরজমিনে কয়েকটি প্রকল্প এলাকায় গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা অভিযোগ করে বলেন, কোন কোন প্রকল্পে নাম মাত্র ২/৪ দিন কাজ করে দায় সারা ভাবে রাস্তার সংস্কারের কাজ করা হয়।

কোন কোন প্রকল্পে দু চারজন শ্রমিক লাগিয়ে রাস্তার মাটি ড্রেজিং কিংবা স্বল্প মাটি দিয়ে খানা খন্দক ভরাট করে, আবার কোন কোন প্রকল্পে ঘাস সাফ করে কাজ সমাপ্ত করা হয়েছে।

সরকারী অর্থে গ্রামিণ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ না করে নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি রাস্তাগুলো দ্রত সংস্কার করে জনগনের ভোগান্তি কমানোর দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

আরও পড়ুন…রোনালদোকে টপকে মেসি রেকর্ড গড়লেন

প্রকল্পের বিষয়ে আওনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, আমাকে বিশ্বাস না করে আমার ওয়ার্ডের কাজ ৫নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার রওশানারাকে প্রকল্পের।

সভাপতি দিয়ে কাজ করানো হয়েছে এ বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।৮নং ওয়ার্ডের হুসেন আলী ম্যাম্বার বলেন, প্রকল্পে দুই দিন কাজ করেছি।আরও কয়েকদিন কাজ করলে পরিপূর্ণ হতো বলে তিনি জানান।৯নং ওয়ার্ডের ম্যাম্বার আনিস বলেন, চেয়ারম্যান সাব ইনশাল্লাহ ভালই কাজ করেছেন।

এ বিষয়ে আওনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন জানান, কাজ হয়েছিল। বৃষ্টির কারনে ধুয়ে গেছে। চলচলে অসুবিধা দুর করতে আবারো কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীরএর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পের বিষয়ে জেনে আপনাকে জানাবো।

ইবাংলা বাএ

অর্থ লোপাটের অভিযোগ