ব্যবসায়ী ও মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে কর্মবিরতিতে যাওয়া ইন্টার্ন চিকিৎসকরা আন্দোলন স্থগিত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কর্মবিরতি সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দেন তারা। ইন্টার্ন চিকিৎসক। মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক মিথুন ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুজ্জোহা সজীব বলেন, আমাদের তিন দফা দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আশ্বাসের ভিত্তিতে এবং কর্মবিরতিতে রোগীদের দুর্ভোগ বিবেচনায় কর্মবিরতি স্থগিত করেছি।
আরও পড়ুন>> মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইন্টার্ন চিকিৎসকরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিলেও ওষুধ ব্যবসায়ীরা এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তাদের উপর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার, শাস্তি ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার দাবিতে ওষুধ দোকান বন্ধ রেখে ধর্মঘট করছিলেন।
মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের দাবি, সোমবার রাতে খুমেক কে-৩২ ব্যাচের শিক্ষার্থী রোমিও ওষুধ কিনতে যান মেসার্স বিপ্লব মেডিসিন কর্নারে। দোকানদার অতিরিক্ত মূল্য চাওয়ায় তিনি প্রতিবাদ করলে তাকে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে অন্য শিক্ষার্থী গিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানদাররা জড়ো হয়ে বহিরাগতদের সহায়তায় তাদের ওপর হামলা করে। ওষুধ ব্যবসায়ী ও বহিরাগতদের হামলায় ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়।
অপরদিকে ওষুধ দোকানদার সাখাওয়াত হোসেন বলেন, মেডিকেলের এক শিক্ষার্থী ৭০ টাকার ওষুধ কেনার পর ২০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিল। দোকানদার কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় দুজন বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়ে। পরে মেডিকেল কলেজের হল থেকে শিক্ষার্থীরা এসে দোকানে ভাঙচুর চালায়। এতে বিপ্লবের দোকানসহ আশপাশের কয়েকটি দোকান ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুর থেকে কর্মবিরতিতে যান ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। পরদিন বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের সামনের ব্লু স্কয়ার মার্কেটের ওষুধ ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ রেখে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেন।
ইবাংলা/এসআরএস