নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার বজরা এলাকার আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করার অভিযোগে বন্ধ করে দিয়েছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্টিবিউশন কোম্পানী। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানটির মালিক সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান রুহুল আমিন খন্দকার।
রোববার (২৭ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী নোয়াখালী কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. শাহ আলম । এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ২৪ আগষ্ট আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়।
আরও পড়ুন…প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, থানায় লিখিত অভিযোগ
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অভিযান চালায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর একটি প্রতিিনিধ দল। অভিযানে ফিলিং আমিন ফিলিং স্টেশনে গ্যাসের মিটারে অবৈধ হস্তক্ষেপের প্রমাণ পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির মিটার খুলে নিয়ে যায় বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানীর প্রতিনিধি দল।
অপরদিকে,উপজেলার একমাত্র সিএনজি ফিলিং স্টেশন আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশন। এ সিএনজি স্টেশনটি গত তিনদিন ধরে বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকায় সিএনজি চালিত পরিবহনের মালিকদের।
আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে আরও ১১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৩২৭
ডিজিএম কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অভিযানে প্রায় ১৫ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের নেতৃত্ব দেয় ভিজিল্যান্স টিম। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা ও নোয়াখালী জেলার সেলস ডিপার্টমেন্টের সদস্যরা। ভিজিল্যান্স টিমের সদস্যরা প্রাথমিক ভাবে আমিন সিএনজি ফিলিং স্টেশনে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের লক্ষণ দেখে লাইন কেটেছে।
এরপর গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে মিটার হেড অফিসে নিয়ে যায়। হেড অফিসে একটি কমিটি রয়েছে যারা মিটার গুলো চেক করেন। মিটার চেক করে পরবর্তীতে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জরিমানা অথবা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে ফিলিং স্টেশনটির মালিক সোনাইমুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আরও পড়ুন…ইবিতে অকেজো সিসি ক্যামেরা: নিরাপত্তা শঙ্কায় শিক্ষার্থীরা
তবে তিনি আরেক গণমাধ্যম কর্মির কাছে অবৈধ গ্যাস সংযোগের আলামত পাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, গ্যাসের বিল বকেয়া থাকায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। কোন ধরনের অবৈধ সংযোগ নেই। এমন একটি মুঠোফোন রেকর্ড এ প্রতিবেদকের কাছে রয়েছে।