প্রতিদিনের ঝামেলা এড়াতে অনেকেই বাজার থেকে একসঙ্গে অনেক ডিম কিনে তা সংরক্ষণ করেন। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ডিম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তাই দীর্ঘদিন ডিম সংরক্ষণের জন্য ডিম ডিপ ফ্রিজে রাখতে হবে। কিন্তু ডিপ ফ্রিজে আপনি আস্ত ডিম রাখতে পারবেন না, এতে ডিমগুলো নষ্ট হবে।
মুরগির শেষ পরিণতি যদি মাংস হয় তবে ডিম হবে আগের ধাপ। মাংস খেলে প্রাণী হত্যা হয় কিন্তু অনিষিক্ত (অর্থাৎ যে ডিমে বাচ্চা হবে না) ডিম খেলে প্রাণী হত্যা হবে না, বাংলাদেশের অনেক নিরামিষাশী শুধু এই যুক্তিতেই ডিম খায়, অনেকে মুরগির ডিম বেশি পছন্দ করেন যেহেতু তার আঁশটে গন্ধ কম। এ ছাড়া ডিমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও তা টের পাওয়া যায় না।
আরও পড়ুন…দোয়া চেয়ে দেশ ছাড়লেন এনামুল হক বিজয়
এসব সমস্যার সমাধানে জানতে হবে সঠিক পদ্ধতিতে ডিম সংরক্ষণের উপায়। ঘরোয়া এমন কিছু সঠিক টিপস রয়েছে, যা আপনাদের এসব সমস্যার খুব সহজ সমাধান দেবে।
. ডিম বেশিদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ডিম ফাটিয়ে সাদা অংশ আর কুসুম আলাদা করে ডিপ ফ্রিজে রেখে দিন। ডিমের কুসুমের স্বাদ অপরিবর্তিত রাখতে প্রতি চারটি কুসুমের সঙ্গে এক চিমটি লবণ বা দেড় চা চামচ চিনি মিশিয়ে রাখুন। এভাবে রাখলে ডিম এক বছর পর্যন্ত খাওয়া যাবে।
. ডিমের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে বা অনেকদিন আগের ডিম হলে ভালো আছে কি-না পরীক্ষা করে দেখতে পারেন। বড় একটি পাত্রে ঠান্ডা পানি নিন এবং তাতে ডিম ছেড়ে দিন। ডিম ডুবে গেলে তা খাওয়ার উপযুক্ত। আর যদি ভাসতে থাকে তবে তা আর খাওয়া যাবে না।
. যদি ডিম সেদ্ধ করা বা ফাটিয়ে ফেলা হয় তবে তা আর বেশিদিন রাখা যাবে না। আবার অনেকেই ডিম কিনে তা ভালো করে ধুয়ে ফ্রিজে রাখেন, এটাও করা যাবে না। কারণ ডিমের খোসার ওপরে মিনারেল অয়েলের একটা প্রলেপ থাকে যা ডিমকে টাটকা রাখে।
আরও পড়ুন…জাতীয় নির্বাচনে দেশের আয় বাড়ে: মান্নান
ডিম সেদ্ধ করলে বা ঘষে ঘষে ধুয়ে ফেললে তার এই প্রলেপ চলে যায় ও ডিম দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ডিম সেদ্ধ করার পর তা একদিনের মধ্যেই খেয়ে ফেলতে হবে। আর ডিম কেনার পর পরই না ধুয়ে বরং ফ্রিজে রেখে দিন। তবে ডিম ব্যবহারের ঠিক আগে ধুয়ে নিতে হবে।