যমুনায় বাড়ছে পানি, পাড় ভেঙে বিলীন হচ্ছে বসতবাড়ি আতঙ্কে চরের মানুষ

নিজস্ব প্রতিনিধি

এবার বর্ষার আগেই লোকালয়ের দিকে ধেয়ে আসছে যমুনা নদীর ভাঙন। বর্ষার সময় কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন চরবাসী বগুড়ায় উজানের ঢল এবং তীব্র স্রোতে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। ভাঙনরোধে কাজ শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সারিয়াকান্দির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন…হিজাব পড়লে বিদ্যালয় নয়, মাদ্রায় ভর্তির নির্দেশনা শ্রেণী শিক্ষিকার

জানা যায়, পানি বাড়ার কারণে বগুড়ার সারিয়াকান্দি হাসনাপাড়া স্পার-২ এর মূল কাঠামোর সংযোগ স্থানে গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে যমুনা নদীর ভাঙন শুরু হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে প্রায় ২০ মিটার এলাকা ধসে যায়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানান।

এরপর সেখানে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবুজ কুমার বসাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও এবং সিনথেটিক ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড।

আরও পড়ুন…ডেঙ্গুতে আরও ১৭ মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ২৩০৮

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সেখানে ৬ শতাধিকের বেশি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলায় সেখানে এখন ভাঙন কমতে শুরু করেছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৮ সেন্টিমিটার। একই সঙ্গে বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ১০০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১০ সেন্টিমিটার।

এদিকে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ফকিরপাড়া, ইদুমারা, ইটুমোড় এলাকায় নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ চলমান রয়েছে।

অপরদিকে পানি বৃদ্ধি হওয়ায় উপজেলার ৪টি নিম্নাঞ্চলের মানুষ কষ্টে জীবনযাপন করছেন। ফসলি জমিসহ নদীর পাড় ভেঙে বসতবাড়ি বিলীন হচ্ছে। ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন…ফরিদপুরে ১৩ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

পানি উন্নয়ন বোর্ড সারিয়াকান্দির উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. হুমায়ন কবীর জানান, যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উজানের ঢল এবং তীব্র স্রোতের কারণে সারিয়াকান্দি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ভাঙনরোধে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

ইবাংলা/ জেএন

আতঙ্কে চরের মানুষ