বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক ২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) মূল্যায়নের ফলাফল প্রকাশ করেছে । এতে দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এ তালিকায় ৭৯.০৩ স্কোর পেয়ে ১৮ তম হয়েছে এদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী প্রথম বৃহৎ বিদ্যাপীঠ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)।
আরও পড়ুন…জলে টইটুম্বুর কাপ্তাই হ্রদ; একদিনে উৎপাদন হয়েছে ২০৩ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ
গত বৃহস্পতিবার ইউজিসির সচিবালয় এবং প্রশাসন বিভাগের সচিব ড. ফেরদৌস জামান স্বাক্ষরিত একটি প্রতিবেদনে এ তথ্যটি প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশন (ইউজিসি) এবং সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির আওতায় ছয়টি বিষয়ে ১০০ নাম্বারের ভিত্তিতে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
কৌশলগত উদ্দেশ্যে ৭০ নম্বরের মধ্যে ৫৩.৮৫, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনায় ১০ নম্বরের মধ্যে ৮.৯৯, ই-গভর্ন্যান্স বা উদ্ভাবন পরিকল্পনায় ১০ নম্বরের মধ্যে ৭.৬০, অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনায় ৪ নম্বরের মধ্যে ৩.৩৬, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কর্মপরিকল্পনায় ৩ নম্বরের মধ্যে ২.৯৫ এবং তথ্য অধিকার কর্ম পরিকল্পনায় ৩ নম্বরের মধ্যে ২.২৮ পেয়েছে ইবি।
আরও পড়ুন…মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ ভাইয়ের মৃত্যু
এছাড়াও এবারের ফলাফল অনুযায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০০ পেয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ৯৭.৯১ পেয়ে দ্বিতীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৯৫.৯৭ পেয়ে তৃতীয়, ৯৫.৪৭ পেয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
উল্লেখ্য, একটি প্রতিষ্ঠানে বা সংস্থায় সেবা প্রদানে গতিশীলতা আনয়ন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকার ২০১৪-১৫ সাল থেকে দেশে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) চালু করে।
যার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নয়ন, সকল স্তরের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা নিরূপণ এবং সরকার ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ ও রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন অনেকটা সহজ হয়। ২০১৫-১৬ অর্থবছর থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউজিসি’র এপিএ স্বাক্ষরিত হয়।
উপরিউক্ত ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি তার আওতাধীন সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এই চুক্তি স্বাক্ষর করে এবং এ মাপকাঠি মোতাবেক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে। ফলভিত্তিক কর্মকান্ড পরিচালনা।
আরও পড়ুন…চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু
সরকারি কর্মকাণ্ডে গতিশীলতা আনয়ন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ, পরিচালিত উপায়ে কর্মসম্পাদন, সম্পাদিত কর্মের বস্তুনিষ্ঠ ও নৈর্ব্যক্তিক মূল্যায়ন, সর্বোপরি সরকারের বিভিন্ন রূপকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা এপিএ -এর মূল লক্ষ্য বলে বিবেচিত হয়।