একনেকে ১৩ হাজার কোটি টাকার ১৭ প্রকল্প অনুমোদন

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৭টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ১০ হাজার ২৬৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা, বৈদেশিক অর্থায়ন ২ হাজার ৬৭০ কোটি ১৫ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ১৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক- এর চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান।

আরও পড়ুন>> সেতু নির্মাণে ভুল নকশায় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষোভ

অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে– নড়াইল-কালিয়া জেলা মহাসড়কের ২১তম কিলোমিটারে কালিয়া নামক স্থানে নবগঙ্গা নদীর উপর কালিয়া সেতু নির্মাণ; বিআরটিসির জন্য সিএনজি একতলা এসি বাস সংগ্রহ; উত্তরা এলাকায় পয়ঃশোধনাগার নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত); ধীরাশ্রম আইসিডি নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণসহ পুবাইল-ধীরাশ্রম রেল লিংক নির্মাণ; গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধ কমপ্লেক্সে আগত দর্শনার্থীদের সুযোগ-সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ; সোনাগাজী ৫০ মেগাওয়াট (সংশোধিত ৭৫ মেগাওয়াট) সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (১ম সংশোধিত); চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সিএমইউ) স্থাপন; চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন; বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ (১ম সংশোধিত)।

এছাড়া সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন প্রকল্প (প্রস্তাবিত ১ম সংশোধন); চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ উন্নয়ন; বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ; গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়ন; বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র প্রকল্প (এমডিএসপি) (৩য় সংশোধিত); কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলাধীন গড়াই নদীর উপর সেতু নির্মাণ প্রকল্প; গুচ্ছগ্রাম-২য় পর্যায় (ক্লাইমেট ভিকটিমস রিহ্যাবিলিটেশন প্রজেক্ট) (৪র্থ সংশোধিত) এবং জলবায়ু পরিবর্তন জনিত জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন সংক্রান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের সেক্টর প্রজেক্ট।

ইবাংলা/এসআরএস

একনেকে