নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রধানসহ গ্রেফতার ৩

ইবাংলা প্রতিবেদক

তাওহীদুল উলূহিয়্যাহ (আল-জিহাদী) নামে নতুন একটি জঙ্গি সংগঠনের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। সংগঠনের প্রধানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট। গ্রেফতারা হলেন- তাওহীদুল উলূহিয়্যাহর প্রধান মো. জুয়েল মোল্লা (২৯), সদস্য মো. রাহুল হোসেন (২১) ও মো. গাজিউল ইসলাম (৪০)।

২০২৪ সালে দেশে বড় হামলার পরিকল্পনা ছিল তাদের। জঙ্গি সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতাসহ শীর্ষ দুই নেতাকে গ্রেফতারের পর পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) এমনটি জানিয়েছে।

আরও পড়ুন…সুষ্ঠু নির্বাচন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের শত্রু: রিজভী

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় এন্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ) হেড কোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. আলীম মাহমুদ।

তিনি বলেন, ১৩ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও ঢাকা মহানগরী বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠনের প্রধানসহ তিন সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা দেশব্যাপী সশস্ত্র হামলার পরিকল্পনা করে আসছিল।

আরও পড়ুন…সুইস এনজিও’র ১৮ কর্মী গ্রেফতার

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি- নতুন জঙ্গি সংগঠনের কয়েকজন সক্রিয় সদস্য নিজ সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহের তৎপরতা চালাচ্ছেন। তারা মূলত সশস্ত্র উগ্রবাদী মতবাদের ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা ও নানামুখী সন্ত্রাসী হামলার ছক একে উসকানিমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন।

তিনি আরও বলেন, এ সংগঠনের শীর্ষ নেতা ও অন্যান্য সদস্যরা আইটি সম্পর্কে অধিকতর জ্ঞান অর্জন, বোমা তৈরির কৌশল শিক্ষা এবং সংগঠন পরিচালনার জন্য অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। তাদের গ্রেফতার করতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী অভিযান চালানো হয়।

আলীম মাহমুদ বলে, প্রথমে বাগেরহাটের রামপাল থেকে জুয়েল মোল্লাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে নতুন জঙ্গি সংগঠনটির আটটি পতাকা উদ্ধার করা হয়। জুয়েল এর আগেও উগ্রবাদী কাজে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেফতার হয়েছিলেন।

পরে তার দেওয়া তথ্যর ভিত্তিতে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর থেকে রাহুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। রাহুল ওই জঙ্গি সংগঠনের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা। তিনি প্রচার-প্রচারণা, সদস্য সংগ্রহ এবং বোমা ও অস্ত্র সম্পর্কিত বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। রাহুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভাষানটেক এলাকা থেকে গাজীউল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়। গাজীউল সংগঠনের জন্য অর্থ ও সদস্য সংগ্রহরে জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন…তবে কি ‘ পরিচালককেই বিয়ে করছেন কীর্তি?

তিনি বলেন, সংগঠনটিতে এখন পর্যন্ত ৮০ থেকে ৯০ জন সদস্য আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। তাদের অর্থদাতা কে তা এখনো জানা যায়নি। তবে, সংগঠনটির অর্থ সংগ্রহের কাজ করছিলেন রাহুল। এ ছাড়া তিনি বোমা তৈরির দায়িত্বেও ছিলেন।

ইবাংলা/ জেএন

গ্রেফতারপ্রধানসহ