ইউক্রেনের হামলায় রুশ নৌ-কমান্ডারসহ নিহত ৩৪

মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলে রুশ নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত ও আরও শতাধিক রাশিয়ান সেনা আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী।

সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ হামলার দাবি করে কিয়েভ। এর আগে গত শুক্রবার রুশ নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। পরে কমান্ডার সোকোলোভের নাম ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন প্রশাসন। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখায়নি তারা। তবে মস্কো জানিয়েছে, সেভাস্তোপলে ইউক্রেনের হামলার ফলে তাদের একজন সেনাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভের মৃত্যুর বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি ছিলেন ব্ল্যাক সি ফ্লিটের কমান্ডার এবং রাশিয়ার একজন অন্যতম শীর্ষ নৌ-কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন>> নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতির শপথ আজ

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নেয়। এই উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তর অবস্থিত। রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি উপদ্বীপটিতে হামলা জোরদার করেছে কিয়েভ।

সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, মস্কোর দখলে থাকা ক্রিমিয়ায় সাম্প্রতিক সময়ে হামলা বাড়িয়েছে ইউক্রেন। তবে এসব হামলা মোকাবেলায় মস্কোও অতিরিক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছিল। এটি দুপক্ষের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল। ওই অঞ্চল থেকেই গত ১৯ মাস ধরেই ইউক্রেনের ওপর বিভিন্ন সময়ে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে রাশিয়া।

ইউক্রেনে রুশ আক্রমণকে সহযোগিতা দেয়ার ক্ষেত্রে মূল কেন্দ্র হিসেবে কাজ করছে ক্রিমিয়া। এ অঞ্চলের সেভাস্তোপল শহরটি ১৯ শতক থেকে রুশ কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের প্রধান ঘাঁটি। রুশ-ইউক্রেনীয় যুদ্ধের শুরু থেকেই রাশিয়ান নৌবাহিনীর অভিযানের জন্য এ ঘাঁটিটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে ইউক্রেন ক্রিমিয়ায় রাশিয়া নৌবহর ও বন্দরের অবকাঠামোতে হামলা চালিয়ে একটি সাবমেরিন এবং একটি যুদ্ধজাহাজের ক্ষতিসাধন করেছিল।

ইবাংলা/এসআরএস

ইউক্রেনের হামলা