সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, ‘বিএনপি-জামায়াত দেশে-বিদেশে বড় বড় লেকচার দেয়। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে আন্দোলনের কথা বলে সন্ত্রাস-নৈরাজ্য চালায়। দেশের জন্য কী অবদান আছে আপনাদের? আপনাদের কি ফিডার দিয়ে দুধ খাওয়াতে হবে? পালকিতে করে গদিতে বসিয়ে দিতে হবে?’
রবিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে জামালপুরের সরিষাবাড়ী রেলওয়ে ময়দানে মুক্তিযোদ্ধা জনতার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এমপি মুরাদ আরও বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার নিজয় হবে। আমরা যতক্ষণ মাঠে আছি, বিএনপি-জামায়াত আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। আমরা লক্ষ জনতা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। আমরা ভয়ে পিছু হটবো—এজন্য জন্মগ্রহণ করি নাই।
সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, বেকারত্ব, জঙ্গিবাদ ও রাজাকারমুক্ত সরিষাবাড়ী গড়ার প্রত্যয় এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অন্যান্য মনোনয়নপ্রত্যাশী ও প্রতিপক্ষদের শক্তির জানান দিতেই এ মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন>> ১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা
জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে মুরাদ হাসান বলেন, ‘আমি শুধু আমার কথা বলার জন্য আসি নাই, আমি বঙ্গবন্ধুর কথা বলতে এসেছি, শেখ হাসিনার কথা বলতে এসেছি, নৌকার কথা বলতে এসেছি। যারা মনোনয়ন প্রত্যাশায় মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তারা আমার ভাই। দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যাকেই নৌকার মনোনয়ন দেবেন, আমরা তাকেই নির্বাচিত করবো। জীবন থাকতে নৌকার বাইরে যাবো না।’
জানা গেছে, সমাবেশ উপলক্ষে প্রায় ১৫ দিন ধরে চলে নৌকার আদলে মঞ্চ নির্মাণ ও মাঠ প্রস্তুতি। সমাবেশস্থল ও আশেপাশের বিভিন্নস্থানে প্রায় ৩০ হাজার চেয়ার এবং প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত মাইকের ব্যবস্থা রাখা হয়। সমাবেশ চলাকালে নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে আগত কর্মী-সমর্থকদের ইউনিয়নভিত্তিক গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা, লাইভ ও মিডিয়া কভারেজের জন্য মঞ্চে ওয়াইফাই সুবিধা, জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চিকিৎসক টিম, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, ড্রোন ক্যামেরায় সমাবেশ পর্যবেক্ষণসহ কড়া নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে সমাবেশ চলে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মিছিল ও সমাবেশে মুরাদ সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল হতবাক হওয়ার মতো।
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন পাঠান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক সুজাত আলী ফকির, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোফাজ্জল হোসেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সাবেক উপপরিচালক লুৎফর রহমান লুলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক তাইফুল ইসলাম বাবুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজমত আলী, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি একেএম আশরাফুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রনি, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জেলি আক্তার, পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম প্রমুখ।
সাবেক পৌর কাউন্সিলর কালাচাঁন পাল সমাবেশ সঞ্চালনা করেন। সমাবেশে ডা. মুরাদ হাসান এমপি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরেন এবং পুনরায় এমপি নির্বাচিত হলে বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। এসময় অন্যান্য বক্তারা ডা. মুরাদ হাসানকে পুনরায় দলীয় মনোনয়ন দিতে দলীয় সভাপতির কাছে দাবি এবং সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
ইবাংলা/এসআরএস