ইংল্যান্ডের বড় হারে সুখবর পেল বাংলাদেশ

ওয়ানডে বিশ্বকাপের চলমান আসরের ২০তম ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে রানের পাহাড় গড়ার পর দাপুটে বোলিংয়ে নিজেদের অধরা বিশ্বকাপ মিশনে তৃতীয় জয় পেয়েছে প্রোটিয়ারা।

শনিবার (২১ অক্টোবর) মুম্বাইয়ে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৭০ রানেই থামে ইংল্যান্ডের ইনিংস। এতে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে প্রোটিয়ারা।

আরও পড়ুন>> বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে ইসরায়েল

এই ম্যাচের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্বকাপের চতুর্থ রাউন্ডের খেলা। অর্থাৎ সব দলেরই চারটি করে ম্যাচ শেষ। আর তাতে প্রাপ্ত হিসেব যা বলছে, তাতে ইংল্যান্ডের বড় হারে বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছে। যদিও নিজ যোগ্যতায় নয়, প্রতিপক্ষের হারই যেন এই রাউন্ড শেষে এগিয়ে দিয়েছে টাইগারদের।

শ্রীলঙ্কা আগের তিন ম্যাচে জয় পায়নি। আজ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে অঘটন দেখানো ডাচরা হেরেছে ৫ উইকেটের ব্যবধানে। এই হারেই বাংলাদেশ থেকে রানরেটে পিছিয়ে পড়ে ডাচরা। চলে যায় পয়েন্ট টেবিলের ৮ম স্থানে। বাংলাদেশ ছিল ৭ম স্থানে। ইংল্যান্ডের অবস্থান ছিল ৬।

দিনের দ্বিতীয় ম্যাচের ফলাফল ছিল অবিশ্বাস্য। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ৪০০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১৭০ রানে। প্রোটিয়াদের কাছে ইংলিশরা হারে ২২৯ রানের বিশাল ব্যবধানে।

এমন বড় ব্যবধানে হার বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের অনেকটাই পয়েন্ট টেবিলে পিছিয়ে দিয়েছে। তাদের রানরেট কমে হয়েছে -১.২৪৮। তাদের অবস্থান এখন টেবিলের নবম স্থানে। ইংলিশরা নিচে নেমে যাওয়ায় পয়েন্ট টেবিলে একধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপে নিচের দিকে থাকা ৫ দলের পয়েন্ট সংখ্যা সমান। প্রত্যেকেই চার খেলায় পেয়েছে ২ পয়েন্ট। তবে এদের মধ্যে বাংলাদেশই অনেকটা এগিয়ে আছে। তবে সেটাও প্রতিপক্ষদের কল্যাণে। ইংল্যান্ডের কাছে ১৩৭ রানের হারের পর কিউইদের কাছে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের ব্যবধানে।

ভারতের কাছে হেরেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। তবুও নেট রান রেটে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ এখন আছে টেবিলের ৬ষ্ঠ স্থানে। প্রতিপক্ষদের এমন হারের সুযোগ বাংলাদেশ নিতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

ইবাংলা/এসআরএস

বাংলাদেশ