ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। আষাঢ়ের বর্ষণধারা, শরতের কাশফুল, শীতের কুয়াশা সব কিছুই আছে বাংলার রূপে। যেকোন ঋতুর চেয়ে বর্ষা ও শরৎ তার স্নিগ্ধ রূপে মুগ্ধ করে প্রকৃতি প্রেমীদের। সাদা মেঘের খুনসুটি আর দিগন্তজোড়া কাশফুলের বাতাসে দোল খাওয়া নোবিপ্রবি ক্যাম্পাসের দৃশ্য যেন মন কাড়ে সব শিক্ষার্থীদের ।
কাশফুলের সৌন্দর্য ব্যঞ্জনায় যেন স্বর্গীয় রূপ ধারণ করেছে ১০১ একরের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। সারাবছর নানা প্রজাতির ফুলে সুশোভিত থাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। জয় বাংলা ভাস্কর্যের চারপাশ, অডিটোরিয়াম ভবন সম্মুখে, লাইব্রেরি ভবনের পাশে এবং আবাসিক হলগুলোসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা স্থানে শোভা পাচ্ছে কাশফুল।
আরও পড়ুন>> বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ আজ
একাডেমিক ১ এবং ২ এর মাঝামাঝি জায়গায়, নীল দীঘির পাড়ে, সেন্ট্রাল ফিল্ডের পাশে, বঙ্গবন্ধু হল প্রাঙ্গনে নীল দীঘির পাশ্ববর্তী রাস্তায় যেন কাশফুলের মেলা বসেছে। সাদায় মুখরিত এসব এলাকা। অনেকে আবার নির্বিঘ্নে কাশফুলের ঘ্রান নিচ্ছে, অনেকে হারিয়ে যাচ্ছে কাশফুলের সৌরভের মাঝে। কিছু শিক্ষার্থীরা আবার ব্যস্ত সুন্দর মুহুর্তগুলো ক্যামেরাবন্দী করতে।
ব্যবসায় প্রসাশন বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তানভীর হাসান বলেন,”সাদা কাশফুলে ছেয়ে গেছে প্রাণের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস। কাশফুল নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস দেখার মতো। সবাই কাশফুলের সাথে নিজের ছবি ফ্রেমবন্ধী করতে ব্যস্ত। কেউ আবার একগুচ্ছ কাশফুল নিয়ে নিচ্ছেন নিজের কাছে সংরক্ষণ করার জন্য। এমন উচ্ছাস সবসময় বিরাজ করুক প্রিয় ক্যাম্পাসে।”
ফিশারিস এন্ড মেরিন সাইন্স ডিপার্টমেন্টের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুস্তকিম সাদিক বলেন, “শরৎ এলেই আমাদের ক্যাম্পাস এক অনন্য রূপ ধারণ করে, কাশফুলের শুভ্রতায় পুরো ক্যাম্পাসে সাজ সাজ অবস্থা বিরাজ করে। আমরাও খুব উপভোগ করি এমন মুহুর্তগুলো। নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস এই সময় নিজেকে পুনরায় যেন আবির্ভাব করে।”
ইংরেজি বিভাগের ১৭তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. ত্বোহা বলেন,”শরতের আগমনের সাথে সাথে ক্যাম্পাসের কাশফুলের সৌন্দর্য আমায় রীতিমত মুগ্ধ করে।”
ইবাংলা/এসআরএস