অর্থনৈতিক সংকটে হতাশায় বছর শেষে ব্যবসায়ীরা

মূল্যস্ফীতির চাপে কমেছে পণ্যের চাহিদা। বাজারে কমেছে বেচাকেনা। প্রকট ডলার সংকটে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে আমদানি। মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামালের আমদানি কমায় হ্রাস পেয়েছে শিল্পের উৎপাদন।

এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনেকটা ভাটা পড়েছে। বর্তমান এই অর্থনৈতিক সংকটে শিল্পের চাকার স্লথগতির কারণে চাপে আছেন ব্যবসায়ীরা।

 

একদিকে নতুন বিনিয়োগ করে প্রত্যাশিত আয় করতে পারেননি উদ্যোক্তারা, উল্টো রয়েছে উচ্চসুদে ঋণ পরিশোধের চাপ। এমন পরিস্থিতি থেকে শিগগিরই উত্তরণের উপায় দেখছেন না ব্যবসায়ীরা।

ফলে তাঁদের কপালের ভাঁজ গাঢ় হচ্ছে। 

এ অবস্থায় নতুন বিনিয়োগ দূরের কথা, বিদ্যমান বিনিয়োগ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। করোনাকালীন সংকট মোকাবেলায় সরকার সহায়তা দিলেও বর্তমান সংকট উত্তরণে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ সব পর্যায়ের ব্যবসা চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের সহায়তা আশা করছেন তাঁরা।

 

ব্যবসা-বাণিজ্য আর বিনিয়োগ এবং শিল্পের উৎপাদন এখন পুরোটাই স্থবির হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ডলার সংকটে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ব্যাহত হচ্ছে। উৎপাদন সক্ষমতা অনেক কমিয়ে কারখানা কেবল চালু রাখার হচ্ছে। এতে ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাওয়ার পাশাপাশি অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য।

ভবিষ্যৎ ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি-প্রকৃতিও আসন্ন নির্বাচনের ওপর অনেকটা নির্ভর করছে। আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, সরকারের নীতি সহায়তার ওপর নির্ভর করবে আগামীর ব্যবসা-বাণিজ্য। আপাতত ব্যবসা-বাণিজ্য অনিশ্চয়তার মধ্যেই আছে।