জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা আগামীকাল বুধবার শপথ নিতে যাচ্ছেন না। দলটি এবার ১১টি আসনে জয় পেয়েছে।
দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু প্রথম আলোকে বলেছেন, দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদের ঢাকার বাইরে রয়েছেন। তিনি ঢাকায় ফিরলে দুই–একদিনের মধ্যে দলীয় বৈঠক করে শপথ নেওয়ার দিন–তারিখ ঠিক করা হবে। বিষয়টি জানিয়ে স্পিকারকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেবেন বুধবার। এদিন সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের শপথকক্ষে তাঁদের শপথ পড়াবেন একাদশ সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।
জাতীয় পার্টির (জাপা) একটি সূত্র জানিয়েছে, দলটির পক্ষ থেকে স্পিকারকে একটি চিঠি দিয়ে বুধবার শপথ নিতে না যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় গত রোববার। ভোটে ২৬টি আসনে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ছাড় পেয়েছিল জাতীয় পার্টি। এই আসনগুলোর মধ্যে তারা ১১টিতে জয়ী হয়।
একাদশ সংসদে জাতীয় পার্টির আসনসংখ্যা (সংরক্ষিত নারী আসন বাদে) ছিল ২৩টি।
বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, জাপার চেয়ারম্যান জি এম কাদের, মহাসচিব মো. মুজিবুল হক, কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার জয়ী হয়েছেন।
এই চার জ্যেষ্ঠ নেতার বাইরে প্রেসিডিয়াম সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী (ফেনী-৩), হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (ঠাকুরগাঁও-৩), গোলাম কিবরিয়া (বরিশাল-৩), এ কে এম সেলিম ওসমান (নারায়ণগঞ্জ-৫), মো. আশরাফুজ্জামান (সাতক্ষীরা-২), এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান (কুড়িগ্রাম-১) ও শরিফুল ইসলাম (বগুড়া-২) নির্বাচিত হয়েছেন।
৭ জানুয়ারি ভোট শেষে জি এম কাদের কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে পরদিন তিনি বলেন, নির্বাচন ‘সঠিক’ হয়নি। এটি সরকারের ইচ্ছানুযায়ী একটি নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন ছিল। এই সরকারকে কেউ বিশ্বাস করবে না, সরকারের গ্রহণযোগ্যতা যেটা ছিল, সেটাও থাকবে না।
এবারের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন ৬২ জন। তাঁদের মধ্যে ৫৮ জন আওয়ামী লীগের নেতা।
ফলে সংসদে বিরোধী দল কে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্বতন্ত্ররা জোট করে বিরোধী দল হতে পারে, এমন সুযোগ আইনে রয়েছে। এর ফলে জাতীয় পার্টি সংসদে বিরোধী দলের অবস্থানও হারাতে পারে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার জাতীয় পার্টির নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ নিতে না যাওয়ার খবর জানাল দলের সূত্র।