শীতপ্রধান জেলা পঞ্চগড়ে সূর্যের দেখা নেই অনেক দিন হলো।সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে অল্প সময়ের জন্য রোদের দেখা মিললেও উত্তাপ।
ছড়ানোর আগে আবারও কুয়াশায় ঢেকে যায় গোটা এলাকা। সকাল ৯ টায় জেলায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
আরও পড়ুন…তানজানিয়ায় স্বর্ণের খনিতে ভূমিধস ২২ জনের প্রাণহানি
রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি। দিনের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৮ দশমিক ১ ডিগ্রি।তবে হাড় কাঁপানো শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে দুঃস্থ।
ছিন্নমূল আর খেটে খাওয়া মানুষের। এদের অনেকেই শীতের কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না।শীত নিয়ে তেঁতুলিয়ার ইজিবাইক চালক শিমুল বিশ্বাস বলেন, তীব্র শীতে কাজে বের হতে কষ্ট হচ্ছে। কিন্তু শীতের জন্য রাতে ঘুমাতে অনেক কষ্ট হয়।
এ দিকে জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, শীতপ্রবণ জেলা হিসেবে প্রতি বছর পঞ্চগড়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে পর্যাপ্ত কম্বল বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন…৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল শিশু আয়ানের পরিবারকে
এবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৮ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
তবে এবারে শীতের শুরু নির্বাচনকালীন হওয়ায় পাঁচ উপজেলার ইউএনও এবং অন্যান্য কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ইতিমধ্যে প্রাপ্ত শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বেসরকারিভাবেও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রত্যন্ত এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন…শেষ উইলিয়ামসনের পাকিস্তান সিরিজ
সরকারিভাবে আরও কম্বলের চাহিদা রয়েছে। এজন্য আরও শীতবস্ত্র চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। নতুন করে কম্বল বা শীতবস্ত্র পাওয়া গেলে দ্রুত বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে।