দশম বিপিএলের পর্দা উঠছে আজ

দশম বিপিএলের পর্দা উঠছে আজ। এবারের আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে দুর্দান্ত ঢাকা। আগামী ১লা মার্চ ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের।

এবারের বিপিএল মাঠে গড়াচ্ছে সাত দলকে নিয়ে। যেখানে শিরোপার লড়াই করবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, সিলেট স্ট্রাইকার্স, রংপুর রাইডার্স, দুর্দান্ত ঢাকা, খুলনা টাইগার্স, ফরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

আরও পড়ুন>> একদিনের ব্যবধানে স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ

কুড়ি ওভারের এ টুর্নামেন্টটি ঢাকার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম এবং সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে। সবমিলিয়ে ৪৩ দিনে মোট ৪৬টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

টুর্নামেন্টটের উদ্বোধনী ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। সরাসরি দেখা যাবে টি-স্পোর্টসে। দিনের অন্য ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে। দুটি ম্যাচই একই ভ্যেনুতে।

আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হতে যাওয়া টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতির প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচনায় নিয়েই এবারের আসরকে দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্টে ভেবেই খেলতে নামবে ক্রিকেটাররা।

এবারের মৌসুমে দুর্দান্ত ঢাকার হয়ে মাঠ মাতাবেন পেসার শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, টি-২০ বিশ্বকাপের আগে বিপিএল অনেক সাহায্য করবে। এটা আমাদের প্রধান টি-২০ টুর্নামেন্ট। এখানে ভালো পারফর্ম করে সবার নজর কাড়তে চাই। আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টটি টি-২০ বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে আমাদের সহায়তা করবে।’

শুক্রবার বাদে সপ্তাহের অন্যান্য দিনের প্রথম ম্যাচ দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে। শুক্রবারের প্রথম ম্যাচ দুপুর ২টায় এবং দ্বিতীয়টি সন্ধ্যা ৭টায় শুরু হবে।

বিপিএলে নতুন দল না হলেও এবার নতুন মালিকানার অধীনে খেলবে ঢাকা। ঢাকার কোচ হিসেবে দায়িত্বে থাকা খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘যখন কেউ দল গড়ে তখন ঐ দলের লক্ষ্য থাকে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। কিন্তু বাস্তবে আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ নকআউট পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করা। কখনও-কখনও চ্যাম্পিয়ন হবার জন্য ভাগ্যের প্রয়োজন হয়।’

টুর্নামেন্টের উন্মাদনা যেমনটা হওয়া উচিত, সেটি প্রত্যাশিতভাবে হয়নি। তবে বিসিবি কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, টুর্নামেন্ট শুরু হলে তা সবার মধ্যে সাড়া ফেলবে।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন থাকায়, সবাই সেখানে ব্যস্ত ছিল। এজন্য আমরা উন্মাদনা তৈরিতে খুব বেশি কাজ করতে পারিনি। তবে টুর্নামেন্টটি সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে আমরা সকল কার্যক্রম চালিয়ে গিয়েছি। মাঠের লড়াই শুরু হলে, এমনিতেই উন্মাদনার সৃষ্টি হবে।’

আগের মতো নয়, এবার টুর্নামেন্টটিকে ভালোভাবে সাজানোর অঙ্গীকার করেছিল বিসিবি। বিসিবির বেশ কয়েকজন পরিচালক বলেন, বিশেষভাবে মিরপুরের উইকেট এমনভাবে প্রস্তুত করা হবে যেন হাই-স্কোরিং ম্যাচ হয়। তবে মিরপুরের উইকেট সবসময়ই ধীরগতির এবং নিচু হয়ে থাকে।

আগেরবারের চেয়ে ধারাভাষ্যকে মনমুগ্ধকর করতে পাকিস্তানের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজাকে এনেছে আয়োজকরা। তারই স্বদেশী আমির সোহেল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক কিংবদন্তি কোর্টলি অ্যামব্রোস, শ্রীলঙ্কার রাসেল আরনল্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার এইচডি অ্যাকারম্যানের সাথে ধারাভাষ্যে থাকবেন সাবেক পিসিবি চেয়ারম্যান রাজাও। তাদের সাথে স্থানীয় ধারাভাষ্যকাররাও থাকবেন।

এবার টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই ডিআরএস সিস্টেম কার্যকর থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।

ইবাংলা/এসআরএস