টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দেশের জুমার নামাজের সর্ববৃহৎ জামাতে অংশগ্রহণ করেছেন লাখ লাখ মুসল্লি। আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টা ৫১ মিনিটে জুমার নামাজ শেষ হয়। কাকরাইল মারকাজ মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা জুবায়ের নামাজে ইমামতি করেন। দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে খুতবা শুরু হয়।
দেশের বৃহত্তম জুমার নামাজে শরিক হয়েছেন ঢাকা, গাজীপুরের বিভিন্ন উপজেলা ও আশপাশের জেলা থেকে লাখ লাখ মুসল্লি। আয়োজকদের ধারণা, প্রায় ১০ লাখ মুসল্লি শরিক হয়ে জুমার নামাজ আদায় করেছেন। ইজতেমার প্রথম পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. হাবিবুল্লাহ রায়হান বিষয়টি জানিয়েছেন।
আগে থেকে ময়দানে জড়ো হওয়া লাখো মুসল্লির সঙ্গে যোগ দিতে ইতোমধ্যে অনেকে টঙ্গী ও আশপাশের এলাকায় অত্মীয়-স্বজনের বাসায় অবস্থান নিয়েছিলেন। প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা শুরুর দুদিন আগে বুধবার থেকেই মুসল্লিরা ময়দানে স্থান না পেয়ে ময়দানের আশপাশের বিভিন্ন অলিগলি, ফুটপাত, সড়ক ও আশপাশের খোলা জায়গায় অবস্থান নিয়েছেন। ইতোমধ্যে মুসল্লির আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে ইজতেমা ময়দান।
আজ শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) ফজর নামাজের পর আমবয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা আহমদ বাটলা। আর তা বাংলায় তরজমা করেন মাওলানা নুরুর রহমান। এর মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার তিন দিনের প্রথম পর্ব। ইজতেমার প্রথম পর্ব আগামী রোববার আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হবে।
আজ বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দিনটি শুক্রবার হওয়ায় ছুটির দিনে বৃহৎ জামাতে অংশ নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই মানুষ ইজতেমা ময়দানের দিকে আসতে থাকেন। গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকদফা বৃষ্টিতে মুসল্লিদের কিছুটা দুর্ভোগ হলেও ময়দানে তসবিহ-তাহলিল পাঠসহ বিভিন্ন ইবাদতে মগ্ন ছিলেন মুসল্লিরা। বৃষ্টির মধ্যেও মুসল্লিদের উদ্দেশে বয়ান করেন দেশ-বিদেশের আলেম-ওলামারা। বাংলা, উর্দু, হিন্দি, আরবি, ইংরেজিসহ বিভিন্ন ভাষায় এসব বয়ান অনুবাদ করে শোনানো হচ্ছে মুসল্লিদের।