ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) আওতায় একটি নতুন রাস্তা পাকাকরণ কাজে সিডিউল বহির্ভূত ভাবে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। একই প্যাকেজে ১৬৫ মিটার সড়ক সংস্কারকাজেও অনিয়ম হয়েছে।
এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আইআরআইডিপি-৩ প্রকল্পে দাগনভূঞার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ করিমপুর গ্রামের ছমিভূঞা হাট থেকে চৌধুরী হাট সড়কের ১৫৭৭ মিটার পাকাকরণ কাজের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ১কোটি ৭১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৯০ টাকা।
এর মধ্যে রয়েছে ১৬৫ মিটার সড়ক সংস্কার। কাজটির কার্যাদেশ পান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কালাম এন্টার প্রাইজ।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কালাম এন্টার প্রাইজের কর্ণধার আবুল কালাম বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান কাজ পেলেও মাঠ পর্যায়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে ঠিকাদার স্বপন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ রাস্তা নির্মাণে একেবারে নিম্নমানের ইট, ইটের খোয়া ও ভিটি বালু ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সড়কের পাশে প্রায় ২০০ মিটার গাইড ওয়াল নির্মাণেও একেবারে নিম্নমানের ইট ও অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে ব্যবহার করা হয়।
সম্প্রতি সরেজমিনে নির্মাণাধীন রাস্তাটি দেখতে গেলে কোনো প্রকৌশলী এসেছেন ভেবে অভিযোগ দিতে আসেন স্থানীয়রা। তারা অভিযোগ করে বলেন, পুরো রাস্তায় একেবারে নিন্মমানের ইটের খোয়া ও ইটের এজেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এলাকাবাসী ঠিকাদারকে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাননি। নিন্মমানের ইট দিয়ে কাজ ধরা আছে বলে ঠিকাদার স্থানীয়দের জানায়।
ঠিকাদার স্বপন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,তিনি সিডিউল মোতাবেক কাজ করছেন।
নিন্মমানের কাজের বিষয়ে জানতে চাইলে দাগনভূঞা উপজেলা প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, সড়কে নিন্মমানের খোয়া দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে সড়ক থেকে নিন্মমানের খোয়া গুলো অপসারণ করে নেওয়া হয়।
তবে একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা দাবি করেন উপজেলা প্রকৌশলীর বক্তব্য সত্য নয়। সড়কে এখনো নিন্মমানের খোয়া ও ইট রয়েছে। এলাকাবাসী পাল্টা অভিযোগ করেন দাগনভূঞা উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের যোগসাজশে এ উপজেলায় এলজিইডির কাজে উন্নয়নের নামে হরিলুট চলছে। যার প্রমাণ মিলবে গত এক বছরে বাস্তবায়নকৃত কাজ গুলো খতিয়ে দেখলে।