বেশ কয়েক ম্যাচ ধরেই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারছেন না সাকিব আল হাসান।গত প্রায় ২ বছরে ২০ ম্যাচে টাইগার পোস্টারবয়ের ব্যাট থেকে আসেনি কোনো হাফ-সেঞ্চুরি।
২০ ম্যাচে তার ব্যাটিং গড় ১৮। বল হাতে যে দাপট দেখাচ্ছেন, সেটাও বলার সুযোগ নেই। নিয়মিত উইকেটের দেখা পাচ্ছেন না এই অলরাউন্ডার।
সোমবার (১০ জুন) দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই থেমেছেন। এনরিখ নর্কিয়ার বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৩ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন লাল-সবুজের সাবেক এই অধিনায়ক।ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ৪ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। আর এই পরাজয়ে অনেকেই সাকিবের দায় দেখছেন।
এদিকে ম্যাচ শেষে ক্রিকবাজের আলোচনায় সাকিবের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন ভারতের সাবেক ওপেনার বীরেন্দ্র শেবাগ। বিশ্বকাপজয়ী এই তারকার মন্তব্য, সাকিবের অবসর নেওয়া উচিত। তার আর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলা উচিত না।
শেবাগের ভাষ্য, ‘আপনি এতই সিনিয়র খেলোয়াড়, অধিনায়ক ছিলেন দলের, এটা শেষ আসর। কিছু তো লজ্জা থাকা উচিত। বলা উচিত, আমি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিচ্ছি। আমার বোলিং ভালো হচ্ছে না, ব্যাটিং ভালো হচ্ছে না। দলের জন্য আমি কিছু করতেই পারছি না। তাহলে আমি খেলে কী করব?’
এ সময়ে সাকিবের ব্যাটিংয়ের ধরণ নিয়েও সমালোচনায় মাতেন ভারতের সাবেক এই ওপেনার। তার মন্তব্য, ‘আপনি অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বা ম্যাথু হেইডন না। আপনি এখন বাংলাদেশি খেলোয়াড়। নিজের মাত্রা অনুযায়ী খেলো। এটা তো আপনার রেগুলার শটই না।
ওই পরিস্থিতিতে সে কেন নর্কিয়ার বিপক্ষে পুল শট খেলতে যাবে? ১৭ বছরের বেশি সময় ধরে যার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আছে, তারও এই সাধারণ জ্ঞান থাকা দরকার, প্রতি বলেই রান নেওয়াই তার দলের জন্য যথেষ্ট ছিল।’
নিজের অবসরের প্রসঙ্গ টেনে শেবাগ যোগ করেন, ‘যখন শ্রীলঙ্কায় বিশ্বকাপ হচ্ছিল, তখনই আমি বুঝেছি মরনে মরকেল বা আফগানিস্তানের বোলারদের বিরুদ্ধে আমি নিজের মতো খেলতে পারছি না। তখনই নির্বাচকদের জানিয়ে দেই, আমাকে যেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ বা এই ফরম্যাটে নেওয়া না হয়।
আমি কেবল ওয়ানডে এবং টেস্ট খেলে যেতে চাই।শেবাগের দাবি, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সাকিব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) উভয়পক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। হয় সাকিব নিজ থেকে সরে যাবে অথবা বোর্ড তাকে বাধ্য করবে।