কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার রেলওয়ে মাসুদ সারওয়ার জানান, এবার ঈদযাত্রায় বেশিরভাগ ট্রেনই সময় মেনে চলাচল করছে। শনিবার প্রায় দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে। ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করেছে। এর মধ্যে ৪৩ জোড়া ট্রেন আন্ত:নগর ট্রেন।
মাসুদ সারওয়ার বলেন, ১২ জুন থেকে এবারের ঈদযাত্রা শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে ঢাকা থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গন্তব্যে যেসব ট্রেন আমরা পরিচালনা করেছি, সেসব ট্রেনের যাত্রীরা তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে নিরাপদে ও ভোগান্তিহীনভাবে পৌঁছাতে পেরেছেন। শনিবার সকাল থেকে ছাড়া বেশিরভাগ ট্রেনই যথাসময়ে ছেড়ে গেছে।
আরও পড়ুন…ঈদযাত্রার শেষ দিন রোববার
যাত্রীরা আমাদের ব্যবস্থাপনায় অনেকটা আনন্দিত হয়েছে। আমরা এবার বিনা টিকিটে ভ্রমণ করার প্রবণতাটা একটু কম দেখেছি। যাত্রীরা সচেতন হয়েছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনী, জিআরপি ডিএমপি, র্যাব এবং বাংলাদেশের অন্যান্য সব বাহিনী সম্মিলিতভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।
সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি সুন্দর, ভোগান্তিহীন নিরাপদ ঈদযাত্রা উপহার দিতে পেরেছি। এখনও পর্যন্ত কোনো ধরনের শিডিউল বিপর্যয় এড়িয়ে অত্যন্ত নিরাপদে মানুষ নির্দিষ্ট সময়ে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছাতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন…তিস্তার ৪৪ জলকপাট খুলে দেওয়ায় নদীপাড়ে আতঙ্ক
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে আমরা ৩৩ হাজার ৫০০ আন্তঃনগর টিকিট বিক্রি করতে পেরেছি। এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের ছিল না।
কিন্তু এই ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিটের বিপরীতে চাহিদা ছিল ব্যাপক। প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে চেয়েছিল। বেশিরভাগ যাত্রী হয়তো অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেননি।
এখন এই টিকিটগুলো পাওয়ার জন্য এই যে ব্যাপক চাওয়া এই চাহিদাকে পুঁজি করে এক শ্রেণির প্রতারক চক্র টিকিট প্রিন্ট আউট করে, এডিট করে বিভিন্নভাবে অনেককে প্রতারিত করেছেন। তাদের র্যাব ধরেছে।
আরও পড়ুন…রাসেল’স ভাইপার সাপের আতংকে দেশ, ছড়িয়ে পড়েছে ২৮ জেলায়
বাংলাদেশ রেলওয়ে সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সকল পর্যায়ের একটি মনিটরিং টিম কাজ করছে। রোববারও সময় অনুযায়ী ট্রেন চলাচল করবে।