লাগামহীন নিত্যপণ্যের বাজারে ক্রেতার জন্য নেই কোন সুখবর। ডিম, আলু, পেঁয়াজ, মরিচের দাম বেড়েই চলেছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরণের সবজি।
সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। সাধারণ মানুষের জন্য এক বাজারে যাওয়া এক বিভীষিকা হয়ে দাঁড়িয়েছে— বলছেন ভোক্তারা।
শুক্রবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া, কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকায়। কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫-৭০ টাকায়। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি।
খুচরা পর্যায়ে ক্রেতাকে ডিমের ডজনে গুনতে হচ্ছে ১৫৫ টাকা। পাইকারিতে ডিমের পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। পাড়া-মহল্লায় ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ টাকা।
সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা। কচুরমুখীর কেজি ৮০ টাকা, বেগুন ৫০ থেকে ৬০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৮০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপের কেজি ৬০ টাকা, ধুন্দল ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, ঝিঙা ৭০ টাকা, শজনে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারগুলোতে ফুলকপি প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধা কপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ব্রোকলি ৪০ টাকা পিস, পাকা টমেটোর কেজি প্রকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা এবং গাজর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ১০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা।
এ ছাড়া বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
পবিত্র ঈদুল আজহার আমেজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফের কেজিতে ৫০ টাকা বেড়ে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহেও ৭৫০ টাকার মধ্যেই ছিল।
এছাড়াও প্রতি কেজি খাসির মাংস এক হাজার ৫০ টাকা থেকে এক হাজার ২০০ টাকা ও ছাগলের মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার টাকায়।
প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। দেশি মুরগি ৭০০-৭৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৯০ টাকা ও লাল লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায় এবং প্রতি কেজি সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩২০ টাকায়