প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ক্রিস্টালিনা জর্জিভাকে বাংলাদেশের পূর্ববর্তী স্বৈরাশাসন উৎখাত করা ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ব্রিফিং করেছেন। তখন ক্রিস্টালিনা জর্জিভা তাকে বলেন, এটি একটি ভিন্ন দেশ। এটি বাংলাদেশ ২.০।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বার্ষিক অধিবেশনের (ইউএনজিএ) ফাঁকে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে এক বৈঠকে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এই কথা বলেন।
আরও পড়ুন…শাইখ সিরাজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা
এসময় বাংলাদেশের সংস্কার উদ্যোগে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্রিস্টালিনা জর্জিভা বলেছেন, ওয়াশিংটন-ভিত্তিক ঋণদাতা সংস্থাটি বিষয়টি নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ঢাকায় একটি দল পাঠিয়েছে।
বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস নির্বাচন, বেসামরিক প্রশাসন, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন ও সংবিধানে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সুপারিশ করার জন্য তার অন্তর্বর্তী সরকার যে ছয়টি কমিশন গঠন করেছে সে সম্পর্কে কথা বলেন।
তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে। সংস্কারের বিষয়ে ঐক্যমতে উপনীত এবং ভোটার তালিকা তৈরি হলে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আইএমএফের প্রধান নির্বাহী এসব উদ্যোগে তার সমর্থন জানিয়ে বলেন, আইএমএফ বাংলাদেশ সরকারের জন্য আর্থিক সহায়তা দ্রুততর করবে। তিনি বলেন, তিনি বাংলাদেশে ‘দ্রুত’ একটি আইএমএফ দল পাঠিয়েছেন এবং এই মুহূর্তে সেটি ঢাকায় অবস্থান করছে। দলটি আগামী মাসে আইএমএফ পরিচালনা পর্ষদের কাছে তাদের প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
জর্জিভা বলেন, আইএমএফ বোর্ড টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন ঋণদান কর্মসূচি শুরু করতে পারে অথবা এটি গত বছরের শুরুর দিকে চালু হওয়া বিদ্যমান সহায়তা কর্মসূচির অধীনে আরও ঋণ দিতে পারে। জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও পরিবহন উপদেষ্টা ড. ফাওজুল কবির খান এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ইবাংলা/রাজিব