একের পর এক ধর্ষণ ও অন্যান্য অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন এক যুবক। ফলে তাকে ৪২ বার যাবজ্জীবন দিয়েছেন আদালত।শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ওই যুবক ৯০টি ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন। ২০১২ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এসব কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। এমনকি তার পাশবিকতা থেকে রক্ষা পায়নি ৯ বছরের শিশুও।
শুক্রবার জোহানেসবার্গের হাইকোর্ট তার বিরুদ্ধে এ রায় দিয়েছেন। অভিযুক্ত এ ব্যক্তির নাম কোসিনাথি পাকাথি।দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রীয় কৌঁসুলি কর্তৃপক্ষ (এনপিএ) জানান, ৪০ বছর বয়সী কোসিনাথির অপরাধ ছিল অত্যন্ত কুৎসিত। তিনি অনেক ক্ষেত্রে ধর্ষণ করার সময় অন্য শিশুদের তা দেখতে বাধ্য করতেন। এ ছাড়া কমবয়সী ছেলেদের দিয়ে মেয়ে বন্ধুদের ধর্ষণে বাধ্য করতেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোসিনাথি ইকুরুলেনি ও এর আশপাশের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়েছেন এবং অন্যান্য অপরাধ করেছেন। জোহানেসবার্গ হাইকোর্ট তাকে ধর্ষণ, অপহরণ, চুরি ও নিপীড়নের অভিযোগে ৪২ বার যাবজ্জীবন দিয়েছেন।এনপিএ জানিয়েছে, বিচারপতি এ বিষয়ে সম্মত হয়েছেন, কোসিনাথি তার অপরাধের বিষয়ে কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেননি। এমনকি তিনি সংশোধন হওয়ার মতো অবস্থায়ও নেই।
এনপিএর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার নির্যাতনের শিকার বেশিরভাগ ছিলেন স্কুলশিশু। এরমধ্যে সবচেয়ে কম বয়সী শিশুর বয়স ছিল ৯ বছর। এ ছাড়া তার পাশবিকতার শিকার সবচেয়ে বেশি বয়স্ক ব্যক্তির বয়স ৪৪ বছর।এনপিএ জানায়, ভুক্তভোগীদের স্কুলে বা কর্মস্থলে যাতায়াতের সময়ে বেশিরভাগ নিশানা করতেন তিনি। অনেকে নিজ বাড়িতে তার হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি সেজে তিনি বিভিন্ন বাড়িতে প্রবেশ করতেন।
২০২১ সালে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন কোসিনাথি। এ সময় তিনি পুলিশের গুলিতে এক পা হারান। রায় ঘোষণার সময় ক্রাসে ভর দিয়ে আদালতে হাজির হয়েছিলেন তিনি।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রমেই সহিংস অপরাধের হার বাড়ছে। এরমধ্যে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা অন্যতম। পুলিশের তথ্যমতে, চলতি বছরের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশটিতে ৯ হাজার ৩০০ এর বেশি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।