ঢাকা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

এইচএসসি-সমমানের পরীক্ষায় বৈষম্যহীন ফলাফলের দাবিতে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ করছেন একদল পরীক্ষার্থী।

রোববার (২০ অক্টোবর) বিক্ষোভ পালনকালে তাদের ওপর হামলা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বলছেন, ইতোমধ্যে যে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, তা বৈষম্যমূলক। এ জন্য তারা সবগুলো বিষয়ে ‘ম্যাপিং’ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে ফলাফল নতুন করে প্রকাশের দাবি জানাচ্ছেন।

রোববার বেলা সাড়ে ১২টার পর ‘এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪’-এর ব্যানারে একদল পরীক্ষার্থী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উদ্দেশে রওনা দেয়। বেলা ১টার দিকে মিছিলটি বোর্ডের ফটকের সামনে পৌঁছায়।

একপর্যায়ে ফলাফল নিয়ে অসন্তুষ্ট ওই শিক্ষার্থীরা বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তারা দাবি করছেন, বোর্ডের ভেতরে তাদের ওপর হামলা হয়। এই হামলায় তাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন।

অন্যদিকে বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, হঠাৎ করে কিছু শিক্ষার্থী ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর করেন। এমনকি তারা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কক্ষেও ভাঙচুর চালান। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করার চেষ্টা করছেন।

বিক্ষুব্ধ পরীক্ষার্থীরা ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের কক্ষেও ঢুকে পড়েন। বোর্ড চেয়ারম্যানকে ঘিরে সেখানে বিক্ষোভ করছেন তারা। ফল বাতিলের ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত তারা সেখান থেকে যাবেন না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে বাতিল পরীক্ষার সাবজেক্ট ম্যাপিং করে ফল তৈরি করেছি। এখানে কেউ বঞ্চিত বা বৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তারপরও শিক্ষার্থীরা কী বলতে চায়, শুনবো। সেগুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আমরা অবগত করবো।

শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হোসেন জানান, ফলাফলে বৈষম্য হয়েছে—এই অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। এর প্রতিবাদে তারা বোর্ডের সামনে অবস্থান করছিলেন। একপর্যায়ে বোর্ডের ভেতরে ঢুকে পড়েন তারা। নথিপত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র রক্ষায় বোর্ডের কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের বাধা দেন। তখন ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এখনও বোর্ডে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। তবে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শিক্ষার্থীরা প্রতিনিধি দল ঠিক করে দিলে, পুলিশ ও কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।