খোলা আকাশের নিচে যার দিন কাটত সেই বৃদ্ধা শিলা গুহ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর পেয়ে আনন্দে কাঁদলেন। আনন্দে উচ্ছ্বসিত হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে সাতকড়া রান্না করে খাওয়াতে চাইলেন তিনি। বৃদ্ধা শিলা গুহের আনন্দের কান্না দেখে আবেগাপ্লুত হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও।
রোববার (২০ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫৩ হাজার পরিবারকে ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসব পরিবারকে ঘর হস্তান্তরের পর সুবিধাভোগীদের সঙ্গে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শিলা বলেন, ঘর পেয়ে আমি অনেক খুশি। আমি আগে রাস্তার ভিখারি ছিলাম, এখন আমি লাখপতি। শুধু বঙ্গবন্ধু কন্যার জন্য এ পর্যায়ে আসতে পেরেছি আমি।
প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘজীবী করুক ভগবান। এই কামনা করি আমি। আর বঙ্গবন্ধুর আত্মা, আমার মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা- এরা যেন শান্তি পায়।
বীরাঙ্গনা শীলা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তারা যেন স্বর্গ থেকে দেখতে পায় আমরা সুখী হয়েছি। আমি এখনও মা আপনার জন্য দু’টাকা করে বাতি জ্বালাই।
এখনও প্রতিদিন আমি বাতি জ্বালাই, আমার বোন যেন সুখী থাকে। আমার বোনকে যেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত করতে না পারে। আমার বোন যেন হাজার বছর বাঁচে, সেই কামনা করি।
এদিকে শিলা দেবীর কান্নায় আবেগ আপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিলা দেবীর কথাগুলো বলা শেষ হওয়া মাত্রই চশমা খুলে চোখ মুছতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।
শেখ হাসিনা বলেন, আপনি খুব ভালো বক্তব্য রাখছিলেন, আমার আন্তরিক শুভেচ্ছা নেবেন। আমি যদি সুযোগ পাই নিশ্চয়ই আসার চেষ্টা করব। আপনাদের যে অবদান, আপনাদের যে আত্মত্যাগ- এই আত্মত্যাগের মধ্য দিয়েই তো আমাদের স্বাধীনতা অর্জন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আত্মত্যাগ কিন্তু বৃথা যায় না। আপনারা যারা ঘর পেয়েছেন সবাই ভালো থাকেন এই কামনা করি। এর আগে প্রথম দফায় ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে জমিসহ ঘর উপহার দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
ই বাংলা/ আই/ ২০ জুন, ২০২১