রেলওয়ে প্রকল্পের টাকা আটকে দিল মোদী

বাংলাদেশের রেলওয়ে ছয় প্রকল্পে অর্থ সাহায্য বন্ধ রাখল ভারত। ক্ষমতা থাকাকালীন শেখ হাসিনা ভারতের সাহায্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের ছয় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চুক্তি করে। হয় দুই দেশের মধ্যে ঋণ চুক্তি।

ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় শেষ হয়েছে শুধু খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের কাজ । কিন্তু এখনও পর্যন্ত বাকি পাঁচ প্রকল্পের কাজ অনেকটাই ‘ধীরে চলো’ অবস্থায় রয়েছে। যার মধ্যে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে রংপুরের কাউনিয়া রেলপথ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই নির্মাণকাজ শুরুই হয়নি।

অন্যদিকে খুলনা-দর্শনা রেলপথ নির্মাণকাজের অগ্রগতি ৪ দশমিক ৭০ শতাংশ এবং বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথের কাজের অগ্রগতি ১৭ দশমিক ১০ শতাংশ। ঢাকা-টঙ্গী ডাবল লাইনের কাজ হয়েছে ৩৭ শতাংশ ১১ ভাগ, আর কুলাউড়া-শাহবাজপুর
রেলপথ প্রকল্পের কাজ মাত্র ৫১ ভাগ হয়েছে বলে ‘যুগান্তরে’র প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে।

খবর অনুযায়ী, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শেষ দুই প্রকল্পের কাজ একেবারেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ফের একবার ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে সে দেশ।  খবর অনুযায়ী, ভারতের ব্যাঙ্কের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছে ঢাকা।

সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা আফজাল হোসেন জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ভারতের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয়েছে। ভারত বাকি দুই প্রকল্পের জন্য অর্থ না দিলে সরকারের নিশ্চয় তহবিল থেকে টাকা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আফজাল সাহেব।

তাঁর কথায়, ঢাকা-টঙ্গী ডাবল লাইনের কাজ এবং কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেলপথ প্রকল্পের কাজ যেহেতু অর্ধেক হয়ে পড়ে আছে। ফলে সরকার এই বিষয়ে উদ্যোগ নিতে পারে। এছাড়াও অন্য বিকল্প পথেও ইউনূস সরকার হাঁটতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে।

অন্যদিকে বাকি রেল প্রকল্পের কাজ কি অবস্থা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছে সে দেশ। ইতিমধ্যে যদিও প্রকল্পগুলোর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা ও বিশদ নকশার কাজ শেষ করে দিয়েছে ভারতীয় সংস্থা। বর্তমান অবস্থায় ভারত অর্থ দিচ্ছে না বলে দাবি বাংলাদেশ রেলওয়ের অধিকর্তার। এই বিষয়েও ভারতের কাছে জানতে চাওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে ভারতীয় দূতাবাসকে কূটনৈতিক নোট পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সে দেশের রেল সচিব। তবে কোনও উত্তর না দেওয়াতে আরও উদ্বেগ বেড়েছে,  “না” মেনে নিয়েছেন দেশের কর্মকর্তাগন।