বাড়ল কলরেট ও ইন্টারনেট খরচ

ইবাংলা ডেস্ক

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়িয়েছে। এতে খরচ বাড়ল মোবাইলফোনে কথা বলা, হোটেল-রেস্তোরাঁ সেবা, ইন্টারনেট সেবা, কোমলপানীয়, সিগারেটসহ শতাধিক পণ্য ও সেবায়।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সই করা অধ্যাদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ভ্যাট বিভাগ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। অবিলম্বে আদেশ কার্যকর হবে।

এদিকে মোবাইলে কলরেট ও ইন্টারনেট প্যাকেজের দাম কমাতে গ্রাহকরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসলেও উল্টো বাড়লো। এই সেবার ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে তিন শতাংশ বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে ১০০ টাকা মোবাইল রিচার্জে গ্রাহককে ৫৬ টাকার বেশি কর দিতে হবে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোবাইল ফোন সেবায় সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হয়। এর সঙ্গে কার্যকরী ভ্যাট ১৮ শতাংশ এবং সারচার্জ আছে এক শতাংশ। এছাড়াও সিম কর, রাজস্ব ভাগাভাগিসহ অন্যান্য কর মিলিয়ে ১০০ টাকার রিচার্জে সাড়ে ৫৪ টাকা নেয় সরকার।

তবে ছয় মাসের ব্যবধানে মোবাইল ফোনে কথা বলা কিংবা ডাটা ব্যবহারে আবারও খরচের বোঝা চাপলো ১৮ কোটি ৮৭ লাখ সিমকার্ডধারীর কাঁধে। তিন শতাংশ বাড়ানো হয়েছে সম্পূরক শুল্ক।

সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৩ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর। এতে ১০০ টাকায় ৫৬ টাকার বেশি কর দিতে হবে গ্রাহককে। বছরে অন্তত ১ হাজার কোটি টাকা বাড়তি রাজস্ব পাবে সরকার।

নতুন এই সিদ্ধান্তের ফলে মোবাইলে ১০০ টাকার রিচার্জ করলে গ্রাহকদেরকে সম্পূরক শুল্ক, ভ্যাট ও সারচার্জ দিতে হবে ২৯ টাকা ৮ পয়সা। এ ছাড়া রেভিনিউ শেয়ার ও মিনিমাম ট্যাক্স দিতে হবে ৬ টাকা ১০ পয়সা, আর পরোক্ষ কর দিতে হবে আরও ২০ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ গ্রাহক ১০০ টাকা রিচার্জ করলে সবমিলিয়ে কর বাবদ তার থেকে কাটা পড়বে ৫৬ টাকা ৩০ পয়সা।

এছাড়া ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বা আইএসপির উপর প্রথমবারের মতো ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বসানো হয়েছে। ব্যবহারকারীরা বলছেন, এটি একটি অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত। এমনিতেই বাড়তি দৈনন্দিন ব্যয়। তারওপর মোবাইলের খরচ বৃদ্ধি মড়ার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো।

ইবাংলা বাএ