নোয়াখালীর কবিরহাটে রাতের আঁধারে গরুর খামারে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে খামারে থাকা ৮টি গরু দগ্ধ হয়, এর মধ্যে ১টি বাছুর আগুনে পুড়ে মারা যায়, দুটি জবাই করে দেওয়া হয়েছে। আগুনে খামারটির প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত খামারের মালিক।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন মিয়া।
এর আগে, রোববার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কালা মিয়া মেম্বারের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
ক্ষতিগ্রস্ত খামারি শাহজাহান বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমি গরুর খামারের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। বর্তমানে আমার খামারে ছয়টি বড় গরু ও দুটি বাছুর ছিল। রোববার দিবাগত রাত ১টার দিকে গরুর দুধ দোহনের পর খামার বন্ধ করে ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। রাত ২টার দিকে খামার থেকে গরুর ডাক শুনে জানালা দিয়ে দেখি খামারে আগুন জ্বলছে।
তিনি বলেন, খামারে থাকা গরুগুলোর গায়ে আগুন জ্বলতে দেখে ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে দেখি বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া। পাশাপাশি থাকা তার অপর দুই ভাইয়ের ঘরের দরজা একইভাবে আটকে দেওয়া হয়। পরে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে বাইরে থেকে আটকানো দরজা খুলে দিলে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে, খামারে থাকা আটটি গরু ও গোখাদ্য পুড়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বাড়ির একপক্ষের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তারা গত কয়েক দিন ধরে তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। এর জের ধরে খামারে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিতে পারেন বলে তিনি ধারণা করছেন।
বিজ্ঞাপন
কবিরহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহজালাল মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, সবগুলো গরুর শরীরের এক দ্বিতীয়াংশ ও তৃতীয়াংশ পুড়ে গেছে। যার মধ্যে দুটি জবাই করে দেওয়া হয়েছে। বাকিগুলোকে আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে তাতে মনে হয়না গরুগুলোকে বাঁচানো সম্ভব হবে। তারপরও আমাদের টিম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন মিয়া বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।