ইসরায়েলের হাতে কতজন ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকা থেকে দুই নারীসহ ১২ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।
মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দীদেরকে ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অফ দ্য রেড ক্রস (আইসিআরসি) এর গাড়িতে করে চিকিৎসার জন্য কেন্দ্রীয় শহর দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহিদ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে বিশদ বিবরণ না দিয়ে ১২ বন্দিকে মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
আরও পড়ুন…দর্শনায় কেরুর অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক ও কর্মচারীদের ঈদ পূনর্মিলনী ও আলোচনা সভা
বার্তা সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে সাড়ে নয় হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি অবস্থায় নির্যাতন, অনাহার এবং চিকিৎসা অবহেলায় মারা গেছেন। এছাড়া ইসরায়েলের হাতে কতজন ফিলিস্তিনি বন্দি রয়েছে সে সম্পর্কে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই।
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় ৯০ শতাংশ বাড়িই হয় ধ্বংস হয়েছে, অথবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেড় বছরের বেশি সময় ধরে উপত্যকায় চলা ইসরায়েলের নির্বিচার হামলার ফলে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তর-ওসিএইচএ এর তথ্যের বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা আইওএম।
সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর খবরে বলা হয়েছে, গাজায় ৯০ শতাংশের বেশি বাড়ি ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় দপ্তরের তথ্য উদ্ধৃত করে বুধবার এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা। ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন গাজার বেসামরিক নাগরিকদের আরও গভীর মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
আরও পড়ুন…নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিবের জলবায়ু বিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলন
আইওএম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছে, গাজাবাসীর ‘যাওয়ার মতো কোনো নিরাপদ জায়গা নেই। পরিবারগুলো অনিরাপদ ধ্বংসস্তূপের মধ্যে আশ্রয় নিচ্ছে।’ সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, তাদের কাছে আশ্রয় সামগ্রী প্রস্তুত। এখন ইসরায়েল গাজায় প্রবেশপথগুলো এখনই খুলে দিলেই সেগুলো স্থানীয়দের কাছে পৌঁছানো হবে। সংস্থাটি অবিলম্বে এসব প্রবেশপথ খুলে দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছে।