পেহেলগাম ইস্যুতে টানা দুই সপ্তাহের বেশি উত্তেজনা ও সংঘাতের পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ১০ মে সন্ধ্যা থেকে এ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর দুই দেশের সংঘাতে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সামনে আসতে থাকে। ভারতের পর এবার পাকিস্তান তাদের সেনা নিহতের সংখ্যা জানাল।দেশটির আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বরাত দিয়ে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন জানায়, ভারতের ‘অপ্রীতিকর ও নিন্দনীয় কাপুরুষোচিত আক্রমণ’ থেকে পাকিস্তানকে রক্ষা করার সময় অন্তত ১১ জন সেনা নিহত এবং ৭৮ জন আহত হয়েছেন।
নিহত সেনারা হলেন নায়েক আবদুল রেহমান, ল্যান্স নায়েক দিলাওয়ার খান, ল্যান্স নায়েক ইকরামুল্লা, নায়েক ওয়াকার খালিদ, সিপাহী মুহাম্মদ আদিল আকবর, সিপাহী নিসার, বিমান বাহিনীর স্কোয়াড্রন লিডার উসমান ইউসুফ, চিফ টেকনিশিয়ান আওরঙ্গজেব, সিনিয়র টেকনিশিয়ান নাজিব, কর্পোরাল টেকনিশিয়ান ফারুক এবং সিনিয়র টেকনিশিয়ান মুবাশির।
এর আগে, ভারতীয় সেনাবাহিনী জানায়, পাকিস্তানের হামলায় তাদের অন্তত পাঁচজন সেনা নিহত হয়েছেন। নিহত সহকর্মীদের আত্মত্যাগ সর্বদা স্মরণ করা হবে বলে জানায় দেশটির সেনাবাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানও।
আরও পড়ুন…যে হুমকি দিয়েছিলেন ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে ভারত-পাকিস্তানকে
এ নিয়ে দুদেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি সংঘাতে রূপ নিয়েছে। গত ৬ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুর নাম দিয়ে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এরপর ১০ মে ভোরে ফের পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দিল্লি।
এর জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ব্যবহার করা হয় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চরম উত্তেজনার মধ্যে ১০ বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্মতির কথা জানান।