ভারতের আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী একটি ফ্লাইট বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটিতে ২৪২ জন আরোহী ছিলেন- যার মধ্যে ছিলেন দুজন পাইলট, ১০ জন কেবিন ক্রু ও ২৩০ জন যাত্রী।
বিমানটি আহমেদাবাদের আবাসিক এলাকা মেঘানিতে বিধ্বস্ত হয়। এরমধ্যে জানা গেছে, বিমানটি আছড়ে পড়েছে একটি মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে। যেখানে এমবিবিএস শিক্ষার্থীরা থাকতেন। বিমান সরাসরি ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ায় অনেক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কয়েক মিনিট পরই বিমানটি একটি আবাসিক এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানটি আকাশে উঁচুতে উঠতে হিমশিম খাচ্ছিল এবং কিছুক্ষণ পর একটি বিশাল আগুনের গোলার মধ্যে বিধ্বস্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, বিমানটি কলেজের ছাত্রাবাসে আছড়ে পড়ার পর সেখানে হৃদয়বিদারক ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃস্টি হয়। ইতোমধ্যেই একাধিক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
আহমেদাবাদের একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমানটি ডাক্তারদের একটি হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন…শেষ যে বার্তা দিয়েছিলেন পাইলট বিমান বিধ্বস্তের আগে
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, পুলিশ, দমকল কর্মী এবং অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান। উদ্ধারতৎপরতা চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় পড়া বিমানটি ছিল এআই ১৭১। যা আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। এখনও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী রাম মোহন নাইডু কিন্জারাপু এক্স-এ জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এদিকে দুর্ঘটনার ব্যাপারে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।