৩ মাস আটকে রেখে গণধর্ষণ!

জেলাপ্রতিনিধি, নোয়াখালী

কথিত প্রেমিকের যোগসাজশে এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) তুলে নিয়ে ৩ মাস আটকে গণধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে কামাল হোসেন নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এঘটনা ঘটেছে নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায়।

মঙ্গলবার ( ১৬ নভেম্বর ) দুপুরে টাঙ্গাইল জেলার সখীপুর এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মূল আসামিরা এখনো ধরা পড়েননি। গ্রেফতার আসামি বেগমগঞ্জ নরোত্তমপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মৃত জালাল আহমদের ছেলে।

আরও পড়ুন: ৪০০ ব্যক্তির লালসার শিকার কিশোরী!

ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সোমবার (১৫ নভেম্বর) সকালে ৪ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে।মঙ্গলবার ( ১৬ নভেম্বর ) সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, মামলায় অভিযুক্ত আসামি কামালকে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ আটস্ট মামুন তাকে মজুমদার হাটের উত্তর পাশে নাছেরের বাড়ির সামনে দেখা করার জন্য ডেকে নেন। সেখানে ছাত্রীটিকে ১ মাস আটকে রেখে চারজন (মামুন, কামাল, নাছের ও ফরহাদ)পালাক্রমে ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করেন। এসব কথা কাউকে জানালে তাকে হত্যা ও ধারণকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন তারা।

এরপর কামাল তাকে টাঙ্গাইলে এক আত্মীয়র বাড়িতে ২ মাস আটকে রাখেন। এরপর গত রবিবার সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী কিশোরী। পরে সোমবার বেগমগঞ্জ থানায় মামলা মামুন, কামাল, নাছের ও ফরহাদের বিরুদ্ধে এ ঘটনায় মামলা করা হয়।

ইবাংলা/ নাঈম/ ১৬ নভেম্বর, ২০২১

পালাক্রমে ধর্ষণসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
Comments (0)
Add Comment