কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় প্রেমিককে বশে আনতে খালাতো বোনকে নিয়ে কবিরাজের কাছে যান ১৬ বছরের এক কিশোরী। এ সময় খালাতো বোনকেও ভালো স্বামী পাওয়ার আশ্বাস দেন কবিরাজ। এ কথা বলেই পানি পড়া খাওয়াতে পাশের কক্ষে নিয়ে সঙ্গে থাকা ১৫ বছরের খালাতো বোনকে ধর্ষণ করেন কবিরাজ।
এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী কিশোরী এখন ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভানী ইউনিয়নের সূর্যপুর গ্রামে। অভিযুক্ত কবিরাজ একই এলাকার জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়ার ছেলে মো. ইকরাম হোসেন কানন ভূঁইয়া। তার বাবাও কবিরাজি করতেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, ঘটনার দিন খালাতো বোনের সঙ্গে কবিরাজ কাননের কাছে যান তিনি। এ সময় খালাতো বোনকে পানি পড়া দিয়ে ড্রইং রুমে বসিয়ে রাখেন। আর তাকে পছন্দের সুন্দর স্বামী পাওয়ার আশ্বাস দিয়ে পাশের রুমে পানি পড়া খাওয়ানোর কথা বলে নিয়ে যান। সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন কানন। বিষয়টি খালাতো বোনকে জানালে তিনি বলেন, ‘কিছু হবে না, কাউকে কিছু বলিস না’।
এদিকে বিষয়টি কাউকে না জানাতে নিষেধ করেছিলেন কানন। জানালে গুম-খুনসহ নানাভাবে ক্ষতি করার হুমকি দেয়া হয়েছিল। তাই ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাননি বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, গত রমজানে মেয়ের শরীরের অস্বাভাবিক পরিবর্তন দেখি। পরে জানতে চাইলে বিষয়টি খুলে বলে। তারপর প্রথমে বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করি। কাননের পরিবারের পক্ষ থেকে সমাধানের আশ্বাসও দেয়া হয়।
তবে সাংবাদিক, পুলিশ কিংবা আদালতের আশ্রয় নিলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে তাদের গ্রাম ছাড়া করারও হুমকি দেন অভিযুক্তরা। ইউপি সদস্য মো. জহিরুল ইসলাম জানান, গত ১৩ জুন সকালে সালিশে ১৩ সদস্যের একটি জুরিবোর্ড গঠন করা হয়।
জুরিবোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ জুন অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীকে কাননের বিয়ের কথা ছিল। কিন্তু তা এখনো কার্যকর হয়নি। এ বিষয়ে দেবিদ্বার থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ই বাংলা/ আই/ ২৩ জুন, ২০২১