ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বাল্যবিবাহের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীর বাউফলের আলোচিত কনকদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হওয়ায় সমন জারি করেছেন আদালত।
সোমবার (২২ নভেম্বর ) দুপুরে পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. জামাল হোসেন এ সমন জারি করেন। এর আগে, গতকাল রবিবার বিকেলে আদালতের দেওয়া নির্দেশে বাল্যবিয়ের সত্যতা পাওয়ায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই।
জানা গেছে, ২৫ জুন কনকদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদার নাবালিকা নাজনীন আক্তারকে (১৩) বিয়ে করেন। এর আগে, ইউনিয়ন পরিষদে বসে বাদীর ভাই মো. রমজান হাওলাদারকে মারধর করা হয়। এবিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। গত ২৮ জুন হাফেজ মো. আল ইমরান বাদী হয়ে আদালতে চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারসহ ৭ জনের নাম উল্লখ করে মামলা দায়ের করেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী মো. আল আমিন হাওলাদার বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন। বিশেষজ্ঞের মতামত, ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে দীর্ঘ তদন্ত শেষে রবিবার পিবিআই কনকদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ের প্রমাণ পেয়েছে বলে ৭২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
উল্লেখ্য, সালিশ-বৈঠকে অসহায় একটি পরিবারকে প্রভাবিত করে এক কিশোরীকে বিয়ে করেন ইউপি চেয়ারম্যান মো: শাহিন হাওলাদার। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশের পর দেশব্যাপী আলোচিত হয়। এরপর তাকে স্থানীয় সরকার বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাময়িক বরখাস্ত করার তথ্য জানায়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ৬ নম্বর কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: শাহিন হাওলাদার সালিশ করতে গিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৪ বছর ২ মাস ১৪ দিন) কিশোরীকে বিয়ে করেন। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ইবাংলা /টিপি /২৩ নভেম্বর ২০২১