প্রতিটি মানুষের জন্যই নিজের ঘরটি সবচেয়ে প্রশান্তির জায়গা। আর এ শান্তির নীড়টিকে নানাভাবে সাজিয়ে রাখতে চায় সবাই। কিন্তু চাইলেই সবসময় নতুন নতুন জিনিস দিয়ে ঘর সাজিয়ে তোলা সম্ভব হয় না। তবে চাইলেই পুরনো আসবাবপত্র পরিবর্তন কিংবা পুনর্বিন্যাস করে ঘরে নতুনত্ব আনতে পারেন। কিন্তু ইচ্ছে করলেই কি দেয়ালের রঙ পরিবর্তন করা যায়! পরিবর্তন করা গেলেও সেটা বেশ কষ্টসাধ্য।
আপনার এই কষ্ট কমাতে এবং রুচিশীলতা প্রকাশে দেয়াল সজ্জার জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে বাহারি রঙ ও ডিজাইনের ওয়ালপেপার আর এসব ওয়ালপেপার দিয়ে বৈচিত্র্যময় করে তুলতে পারেন আপনার ঘরের দেয়াল। যা আপনার ঘরের একঘেয়ে চেহারাকে নিমিষেই করে তুলতে পারে প্রাণবন্ত।
সাধারণত দেয়ালের ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে এবং আকর্ষণীয় করতে ওয়ালপেপার ব্যবহার করা হয়। ওয়ালপেপারের রঙ ও নকশা নির্ভর করে রুমের ডেকোরেশন এবং পুরো দেয়ালের রঙের ওপর। এক্ষেত্রে দেয়ালের রঙের সঙ্গে অবশ্যই আসবাবপত্রের রঙেও মিল থাকতে হবে এবং পর্দার রঙও ওয়ালপেপার বাছাইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ওয়ালপেপার ব্যবহারের নিয়ম
ওয়ালপেপার ব্যবহারের নিয়ম বেশ সহজ। আপনার পছন্দের দেয়াল নির্বাচন করুন। খেয়াল রাখতে হবে, যে দেয়ালে ওয়ালপেপার লাগাবেন, সে দেয়াল যেন অবশ্যই শুষ্ক ও মসৃণ থাকে। সরাসরি প্লাস্টার করা দেয়ালে বা পেইন্ট করা দেয়ালেও ওয়ালপেপার ব্যবহার করা যায়।
প্রথমে নির্বাচিত দেয়াল ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। পরিষ্কার দেয়ালে ভালোভাবে অ্যাডহেসিভ লাগিয়ে তারপর পেপারের যে দিকটা দেয়ালে লাগানো হবে, সে দিকটায়ও অ্যাডহেসিভ লাগাতে হবে। ওয়ালপেপার সরাসরি প্লাস্টারের ওপরও বসিয়ে দেওয়া যায়। এতে করে সময় ও টাকা দুটিই বাঁচে। কেননা ঘরে পেইন্ট করতে যে পরিমাণ টাকার প্রয়োজন পড়ে, ওয়ালপেপারে খরচ তার চেয়ে কম।
প্রতিটি ওয়ালের কার্পেটিং এরিয়ার স্কয়ার ফুট হিসাব করে সাধারণত ওয়ালপেপার লাগানো হয়। এক্সিসটিং প্লাস্টারের ওপর প্রাইমার ব্যবহার করেও পেস্ট করা যায়। এতে ঘরের প্লাস্টারের ক্ষতি হয় না। তবে যে ধরনের ওয়ালপেপারই ব্যবহার করেন না কেন, খেয়াল রাখতে হবে ঘরের ভেতরে কোনো ড্যাম্পভাব আছে কি-না। এক্ষেত্রে ‘ড্যাম্প ওয়ালপ্রুভ সলিউশন’ ড্যাম্প জায়গায় আগে লাগিয়ে নিয়ে পরে ওয়ালপেপার লাগাতে হবে। এতে করে ওয়ালপেপারের কোনো ক্ষতি হবে না।
ওয়ালপেপার ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা হলো, এটি সহজেই পরিষ্কার করা যায়। যেসব জায়গায় ময়লা জমবে, সে জায়গাগুলো হালকা লিক্যুইড সোপ দিয়ে পরিষ্কার করে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিলে আবার আগের মতো ঝকঝকে দেয়াল ফিরে পাবেন আপনি।
ইবাংলা /টিপি/ ৭ ডিসেম্বর ২০২১