নিছক তর্কের জন্য তর্কে লিপ্ত হওয়া আল্লাহ পছন্দ করেন না। ইসলামের দৃষ্টিতে এমন তর্কে লিপ্ত হওয়া নিন্দনীয় কাজ। এতে সত্য উদঘাটিত না হয়ে বরং মানুষের মধ্যে জেদ বা আক্রমনাত্বক মনোভাব সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষ প্রতিপক্ষকে জব্দ ও হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে। কূটতর্কে সমাজে হিংসা-বিদ্বেষ ও দ্বন্দ্ব-কলহের সৃষ্টি হয়।
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তারা কেবল বাগবিতণ্ডার উদ্দেশ্যেই আপনাকে এ কথা বলে, বস্তুত তারা এক বিতণ্ডাকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা : জুখরুফ, আয়াত : ৫৮) । রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, বাগবিতণ্ডাকারী ব্যক্তি আল্লাহর কাছে অত্যধিক অপছন্দনীয়। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ২৪৫৭)
কাজেই অহেতুক কূটতর্ক ও ঝগড়া-বিতণ্ডা থেকে বিরত থাকা একান্ত অপরিহার্য। নিতান্তই যদি বিতর্কে লিপ্ত হতে হয়, তবে ইসলামের নির্দেশনা হলো, ‘তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহবান করো প্রজ্ঞা ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সঙ্গে তর্ক করো উত্তম পন্থায়। তোমার প্রতিপালক তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপথগামী হয়, সে সম্পর্কে সবিশেষ অবহিত এবং কারা সৎপথে আছে, তা-ও তিনি সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ১২৫)
এমনকি কেউ যদি বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে কারো সঙ্গে মন্দ আচরণ করে এবং কূটতর্কে লিপ্ত হয়, তবু ইসলাম তার সঙ্গে উত্তম আচরণ করার নির্দেশ দেয়। ইরশাদ হয়েছে, ‘ভালো ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দ প্রতিহত করো উত্কৃষ্ট দ্বারা। ফলে তোমার সঙ্গে যার শত্রুতা আছে সে হয়ে যাবে অন্তরঙ্গ বন্ধুর মতো। এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরই, যারা ধৈর্যশীল; এই গুণের অধিকারী করা হয় কেবল তাদেরই, যারা মহাভাগ্যবান।’ (সুরা : ফুসসিলা, আয়াত : ৩৪-৩৫)
ইবাংলা /টিপি /১৯ ডিসেম্বর ২০২১