দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে মাসখানেক ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত একের পর এক কর্মসূচি দিয়ে মাঠ চাঙ্গা রাখবে দলটি।
অন্যদিকে ‘নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য’ নির্বাচন কমিশন গঠন না হলে আন্দোলনে নামারও হুমকি দিয়ে রেখেছে দলটি। এর পর চূড়ান্তভাবে নির্দলীয় সরকারের দাবিতে মাঠে নামবেন তারা। এর আগ পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচির মাধ্যমে রাজপথে অবস্থান ধরে রাখতে চান দলের নীতিনির্ধারকরা।
খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে বুধবার (২২ ডিসেম্বর) ৩২ জেলায় সমাবেশ শুরু হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ কর্মসূচিতে দলের মহাসচিব, স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবসহ নেতারা অংশ নেবেন।
বিএনপি নেতারা বলছেন, রাজপথে নামার জন্য বিএনপির সামনে সুস্পষ্ট সুযোগ কম। খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সেই সুযোগ সামনে এসেছে। তাই ইস্যুটিকে কোনোভাবেই হাতছাড়া করতে চায় না দলের হাইকমান্ড। এ কারণে এই ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার শরীরের প্যারামিটারগুলো নিচের দিকে। চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত বিদেশে নিতে চিকিৎসকরা বারবার বলছেন। আমরা ইতোমধ্যে সারাদেশে মানববন্ধন, সমাবেশ, গণ-অনশন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি পালন করেছি। ৩২ জেলায় সমাবেশের পর আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।
বিএনপির একজন নীতিনির্ধারক জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের পর কাদের দিয়ে সার্চ কমিটি গঠন হয়, নতুন কমিশন কাদের দিয়ে গঠন করা হয়- এ বিষয়ের ওপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। তবে যে প্রক্রিয়ায় ইসি গঠনের দিকে এগোচ্ছে সরকার, তাতে নতুন বছরের শুরুতে আন্দোলন নতুনমাত্রা পেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন বছরে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে আন্দোলনে যেতে পারে বিএনপি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশন ইস্যুতে কোনো সংলাপে বিএনপি বসবে না দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া আছে। এর পরও সংলাপের জন্য চিঠি পেলে বিএনপি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে চিঠির জবাব দেবে। সেখানেও নিরপেক্ষ সরকার ইস্যুতে বিএনপি আলোচনা করতে পারে- এমন কথাই বলা হবে।
বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে যা যা কর্মসূচি পালন করার দরকার তা বিএনপি করবে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির পরও যদি সরকার তাকে বিদেশে না পাঠায় তা হলে সরকার পতনের আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।
ইবাংলা/জেডআরসি/২২ ডিসেম্বর, ২০২১