মালয়েশিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১০ জন। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত ৬টি প্রদেশে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হয়নি।জানা গেছে, ২ থেকে ৩টি রাজ্যে বন্যার পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে এর মধ্যে রাজধানী কুয়ালালামপুরের পাশের রাজ্য সেলেঙ্গর রাজ্য রয়েছে।
বৃহস্পতিবার(২৩ ডিসেম্বর) সকালে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দেশটির পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) অ্যাক্রিল সানি আব্দুল্লাহ সানি।মালয়েশিয়ায় ১৩টি প্রদেশের মধ্যে ৯টি প্রদেশই মাত্র ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে আকষ্মিক বন্যা প্লাবিত হয়। সৃষ্ট বন্যায় উপদ্বীপজুড়ে ১৮ হাজার ৮০টি পরিবারের ৬৮ হাজার ৩৪১ জন লোক গৃহহীন হয়েছে।
বর্তমানে বন্যা মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থার ৬৬ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। সরকার বন্যা দূর্গতদের জরুরি চিকিৎসা ও খাদ্য সহায়তার জন্য অসংখ্যা অস্থাসী ত্রাণ কেন্দ্র (পিপিএস) এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে।৯টি রাজ্যের মধ্যে এই সাতটি রাজ্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যেমন- পেরাক, কুয়ালালামপুর, সেলাঙ্গর, নেগ্রি সেম্বিলান, মেলাকা, পাহাং এবং কেলান্তান। সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে পাহাং। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বলেছে, প্লাবিত এলাকার কিছু নদীর পানি বিপদ সীমার মধ্যে রয়েছে এবং আগামী দিনে আরও বন্যার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন।
আইজিপি আরও বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় চুরি ও লুটপাটের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের এ ধরনের কার্যকলাপে অবলম্বন না করে অস্থায়ী ত্রাণ কেন্দ্রে (পিপিএস) আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সেখানে খাবার এবং সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে খাবারের অভাবে একটি সুপারশপ থেকে পণ্য সামগ্রী লুটপাটের অভিযোগে ৩১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।