‘কঠোর বিধি-নিষেধ’ আরেক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান ‘কঠোর বিধি-নিষেধ’ আরো ৭ দিন বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে করোনা সংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

রোববার (৪ জুলাই) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এটাতো বলার দরকার নেই যে, পরামর্শের ওপর ভিত্তি করে সরকার এই কঠোর লকডাউন দিলো। সেখানে জাতীয় কমিটি ১৫ দিনের কথা বলেছিল। কঠোরভাবে নিয়ম মানলে সংক্রমণ ও মৃত্যু হার কমবে বলে মনে করেন করোনা সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা।

সভাপতি আরও বলেন, সরকারকে আগেই ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে কমিটি। আমরা আশা করবো সরকার আরও এক সপ্তাহ এই বিধিনিষেধ বাড়াবে। দীর্ঘমেয়াদে আসলে দেশে কঠোরভাবে লকডাউন, বিধিনিষেধ বা শাটডাউন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। আর তাই আমাদের অন্তত ভাইরাসের সুপ্তিকাল অর্থাৎ ন্যুনতম ১৪ দিনের জন্য সব কিছু বিচ্ছিন্ন রেখে ফলাফল দেখতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা এর আগে কারিগরি পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে রোগের বিস্তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ও জনগণের জীবনের ক্ষতি প্রতিরোধ করার জন্য কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে সারাদেশে কমপক্ষে ১৪ দিন সম্পূর্ণ শাটডউন দেয়ার সুপারিশ করেছিলাম। আমরা শাটডাউন বলতে বুঝিয়েছিলাম সকল কিছু বন্ধ যাতে মানুষের মাঝে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে আসে।

সরকার এরইমধ্যে সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেছে। আমরা আশা করবো সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার অবশ্যই এটিকে বৃদ্ধি করবে। জরুরি সেবা ছাড়া যানবাহন, অফিস-আদালত সহ সবকিছু বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এ ব্যবস্থা কঠোরভাবে পালন করতে না পারলে আমাদের যত প্রস্তুতিই থাকুক না কেন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা অপ্রতুল হয়ে পড়বে।

দেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতির কারণে চলমান সপ্তাহব্যাপী কঠোর বিধি-নিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা বিষয়টি নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারক মহলেও আলোচনা চলছে। সারাদেশে চলা কঠোর বিধি-নিষেধ গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে, যা শেষ হবে ৭ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাতে।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে চলতি বছরের ৫ এপ্রিল থেকে ধাপে ধাপে বিধি-নিষেধ দিয়ে আসছে। দেশব্যাপী লকডাউনের পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ বিধিনিষেধ জারি করে। এরপরও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না আসায় সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।

ই-বাংলা/ বিধি-নিষেধ/ ৫ জুলই, ২০২১

Contact Us