মেঘলা আবহাওয়ায় পাইলটের ত্রুটির কারণে ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয় বলে তদন্তকারী দল প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে। গত মাসের ওই দুর্ঘটনায় সস্ত্রীক মারা যান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। এনডিটিভি জানায়, আবহাওয়ার পরিবর্তন ও মেঘলা আবহাওয়া এবং মেঘের আস্তরণের ভেতরে ঢুকে পড়ায় পাইলটের বিভ্রান্তির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
ভারতের বিমান বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, উপত্যকায় অপ্রত্যাশিতভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তনে মেঘের মধ্যে হেলিকপ্টার ঢুকে যেতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে। পাইলটের বিভ্রান্তিবোধ তথা ‘স্প্যাটিয়াল ডিসওরিয়েন্টেশনের জন্যই এই ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় বিমানবাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘তদন্তকারী দল বিশ্লেষণ করেছে বিমানের ডেটা রেকর্ডার আর ককপিট ভয়েস রেকর্ডার। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের যাতে দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়।’
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি বিমান বাহিনীর তরফে এমআই-১৭ভি৫ (যে হেলিকপ্টারে ছিলেন বিপিন রাওয়াত সহ ১৩ জন) নিয়ে তদন্তের গতিপ্রকৃতি ও তথ্য ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের কাছে পেশ করা হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর ভারতের তামিলনাড়ুর কুন্নুরে বিপিন রাওয়াতকে বহনকারী উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে সস্ত্রীক চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত সহ ১৪ জনের মৃত্যু হয়। সেই দুর্ঘটনারই তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল।
সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত, তার স্ত্রী মধুলিকা রাওয়াত, ব্রিগেডিয়ার এলএস লিড্ডার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল হরজিন্দর সিং, নায়েক গুরসেবক সিংহ, নায়েক জিতেন্দ্র কুমার, ল্যান্সনায়েক বিবেক কুমার, ল্যান্সনায়েক বি সাই তেজা, দার্জিলিঙের তাকদার বাসিন্দা হাবিলদার সৎপাল রাইয়ের।
হেলিকপ্টারটি চালাচ্ছিলেন উইং কমান্ডার পৃথ্বী সিংহ চৌহান। তারও মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর জখম হন গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংহ। তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় প্রথমে ওয়েলিংটনের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।
ইবাংলা / টিপি/ ১৫ জানুয়ারি