কেরানীগঞ্জে (জিনজিরা) সদর দফতরসহ হাসনাবাদ, শুভাঢ্যা, রাজেন্দ্রপুর, কলাতিয়া ও রোহিতপুরে পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস রয়েছে। এসব পল্লী বিদ্যুৎ অফিস দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। মিটার নিতে হলেও ভোগান্তির শেষ নেই। সাধারণ মানুষ ও ভুক্তভোগিরা বলছেন এই অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের অনিয়ম দুর্নীিতি যেন ক্যান্সারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে দুর্নীতি হচ্ছে না। সর্বগ্রাসী দুর্নীতির সাথে জড়িত ইঞ্জিনিয়ার, অয়ারিং ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকাট্রিশিয়ান,লাইন ম্যান ও কো অর্ডিনেটার, জিএম, ডিজিএমসহ সবাই। পার্থক্য শুধু পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ তাদের নানা কারসাজির কারণে কেরানীগঞ্জ এলাকায় কিছু অসাধু গ্রাহক যেমন সুবিধা নিচ্ছে তেমনি এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা অঢেল সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছে। ফলে এদের কারনে রাজস্ব হারাচ্ছে বিআরইবি।
মিরের বাগ এলাকায়, মা বাবার দোয়া অটো চার্জিং ষ্টেশন মালিক- মোঃ রফিক উদ্দিন পিতা-আজমত আলী গ্রাম -মিরেরবাগ, (অফিস মাঠ নামীয় এলাকায় ) অটোরিকশা চার্জিং করার জন্য সংযোগ নেন। ট্যারিফ- এলটি ডি- ৩ কিন্তু সে নকল বৈদ্যুতিক তার তৈরি করেন যা শিল্প শ্রেনী ট্যারিফ- এলটি সি -১.।
সংযোগের পূর্বে ট্রান্সফরমার পরিবর্তন করার কথা থাকলেও তা না করে পূর্বের ট্রান্সফরমার হতে ঝুকিপূর্ণ করে ওভারলোডে সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। যেকোন সময় ২টি লোডের জন্য ট্রান্সফরমার পুড়ে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি হতে পারে। প্রস্তুতকৃত ডিজাইন অনুযায়ী কাজ না করেই সংযোগ প্রদান করা হয়।
নীতিমালা অনুযায়ী সোলার স্থাপনের প্রয়োজন থাকলেও স্থাপন না করেই তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়। ৪ঃ-বিইআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী লাইন ঝুকিপূর্ণ না করার জন্য ক্যাপাসিটর স্থাপন প্রয়োজন থাকলেও তা স্থাপন করা হয়নি।
উক্ত কারনে একবার সংযোগ প্রদান না করে সিএমও ফেরৎ প্রদান করলেও অদৃশ্য কারনে লাইন নির্মাণ ও ট্রন্সফরমার পরিবর্তন না করেই ওয়্যারং ইন্সপেক্টর মিজানুর রহমান মোটা অংকের টাকা নিয়ে ইকুরিয়া গ্রামের বৈদ্যুতিক হেলপার জসিমউদদীন এর মাধ্যমে যোগসাজশ করে লাইনম্যান আলী আকবর সংযোগ প্রদান করে।
সরেজমিন খোজ নিয়ে জানা যায়, পারগেন্ডারিয়া গ্রামে বাবেহারা জামে মসজিদের ট্রান্সফরমার থেকে ওভারলোডে একটি চার্জিং স্টেশন সংযোগ প্রদান করে, যার হিসাব নম্বর ৭০৪-১৪৫৬ ট্রান্সফরমার পরিবর্তন না করেই সংযোগ দিয়েছে একই দালাল ও মিজানুর। হাসনাবাদ জোনাল অফিসের কো অর্ডিনেটর উৎসব কুমার
উৎসব কুমার দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছে । হাসনাবাদ জোনাল অফিসের বর্তমান পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর উৎসব কুমার মন্ডল হাসনাবাদে তিন বছর চাকুরী করেছে। উৎসব কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে তিন বছরের পূর্বেই পুনঃরায় হাসনাবাদ অফিসে পোষ্টিং নিয়ে ফেব্রুয়ারী ২০২২ হতে কর্মরত আছে।
তিনি হাসনাবাদে তিন বছর চাকুরী করে তার নাবালক ছেলে যুবরাজ এর নামে আইন্তা হাসপালের কাছে এক কোটি টাকার জমি কিনে ছেলের নামে সাইনবোর্ড লাগান। পরে সেই সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন।
জানা যায়, তার বসুন্ধরা রিভার ভিউ এর মধ্যে প্লট ও ফ্লাট রয়েছে। তার স্ত্রী পলি রানী এর নামে ফ্লাট আছে যার মূল্য প্রায় ৭৫ লক্ষাধিক টাকা।
ইবাংলা/ ই/ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২