স্মার্টফোনের বিকল্প হিসেবে নতুন এক প্রযুক্তির ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন বিল গেটস। নতুন প্রযুক্তির নাম ইলেকট্রনিক ট্যাটু। কেওটিক মুন কোম্পানির নতুন প্রযুক্তি ইলেকট্রনিক ট্যাটু একটি বায়োটেকনোলজি ভিত্তিক কৌশল। এর মাধ্যমে মানবদেহের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা যাবে। ধারনা করা হচ্ছে বাজার থেকে স্মার্টফোনকে হটিয়ে দিতে সক্ষম হবে এ ইলেকট্রনিক ট্যাটু।
ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি হলিউড মুভিতে দেখা গেছে, কল করতে, বার্তা পাঠাতে বা ঠিকানা দেখতে ইলেকট্রনিক ট্যাটুর ব্যবহার। মূলত এই ট্যাটুটি প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা এবং ক্রীড়া তথ্যের ডাটা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করবে। এ তথ্যের মাধ্যমেই রোগপ্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন। পাশাপাশি এই ট্যাটুর মাধ্যমে শারীরিক কর্মক্ষমতাকে উন্নত করাও সম্ভব হবে।
যদিও এই ইলেকট্রনিক ট্যাটুটি নিয়ে এখনও বিস্তর গবেষণা চলছে। তবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এটি ত্বকে অস্থায়ীভাবে প্রয়োগ করা হবে। কাজ করবে ছোট সেন্সর এবং ট্র্যাকারের সাহায্যে। যা একটি বিশেষ কালির মাধ্যমে তথ্য পাঠাবে ও গ্রহণ করবে।
তবে বিল গেটসের এই স্বপ্ন কবে সফল হবে এখনো তা বলা যাচ্ছে না। গেটস এবং তার দল নতুন এই ডিভাইসটির ব্যবহার সবার জন্য উন্মুক্ত করার একটি সহজ উপায় খুঁজছেন।
ইবাংলা/ টিপি/ ৫ মার্চ, ২০২২