জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আবু রায়হান নিজ বাড়িতে পরিবারবর্গ সহ হামলার শিকার হয়েছে।
সোমবার (২ মে) বিকেলে শরীয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার বাহাউদ্দিন মুন্সিকান্দির নিজ বাড়িতে পরিকল্পনা মাফিক একই এলাকার সুমনের সদস্যবাহিনীর হাতে হামলার এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সূত্রপাত ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী রায়হান জানান, পরিবারের সবাই মিলে ইফতার আয়োজন করছিলাম। এ সময় আমাদের বাড়িতে আসে সুমন(৩০) সে আমার ভাই সাজিদের (১৮) সাথে প্রথমে দুষ্টুমি করতে থাকে একপর্যায়ে সে আমার ভাইকে থাপ্পড় মারে।
চিৎকার শুনে আমরা সেখানে গেলে আমরা সবাই আমরা ভাইকে বুঝিয়ে ঘরে নিয়ে আসি। সুমনকে তাদের বাড়ি পাঠিয়ে দেই তার ঠিক ১০ মিনিট পর সুমন ও তার ভাই বিল্লালকে (২৬) নিয়ে এসে আমাদের উপর ইফতারে পূর্বমূহুর্তে হামলা চালায়। তারা সাথে করে বাশ,লাঠি নিয়ে আচমকা আমার বাবা, মা, চাচা এবং আমকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে।
আমাদের বাড়িঘর ভাঙ্গচুর করে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গ্রাম মাতবরকে দিয়ে বিষয়টি সুরাহা করতে বাজারে যাই বাজার থেকে ফিরার পথে আমাদের বাড়ির সামনে আসলে পুনরায় হামল চখলায়। ব্রিজের কাছে আসতেই সাজিদের বাহিনী হকিস্টিক, বাশ লাঠি দিয়ে বেপোরোয়া ভাবে হামলা চালায়।
এতে আমার ভাইয়ের পা ভেঙ্গে যায়, আমার ছোট ভাইয়ের পায়ের লিগামেন্ট ২ ভাগ হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে পরিবারের সবাই ভেদরগঞ্জ উপজেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ছোট ভাইয়ের পায়ের চিকিৎসার জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও জবি প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন রায়হান। সখিপুর থানায় ৮ জনকে আসামি করে সাধারণ ডায়েরি করেছে রায়হানের পরিবার।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল জানান, আমি বিষয়টি অবগত ছিলাম না যেহেতু আমি জেনেছি অবশ্যই তার পাশে দাড়াবো যথাযথ ব্যবস্থা নিব।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান হাওলাদারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি ছুটিতে আছি ডিউটি অফিসারের কাছে অভিযোগ দিলে আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।
ইবাংলা/টিএইচকে/৪ মে, ২০২২